Advertisement
Advertisement
IT Fraud

না বুঝে আয়কর দপ্তরের নামে মেসেজে সাড়া দিচ্ছেন? সাবধান, এভাবেই টাকা হাতাচ্ছে জালিয়াতরা

জালিয়াতির কায়দা ধরে ফেলে সতর্ক করল লালবাজার।

Do not reply fake SMS sent in the name of IT, otherwise you may lose money from bank account, allert from Kolkata Police | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 25, 2021 9:56 pm
  • Updated:September 25, 2021 9:56 pm

অর্ণব আইচ: আয়কর দপ্তরের ভুয়ো মেসেজে সাড়া দিলেই উধাও হয়ে যেতে পারে জীবনের সব সঞ্চয়। ব্যাংকের জমানো টাকা এক নিমেষে চলে যেতে পারে জালিয়াতদের হাতে। এই নতুন ম্যালওয়ার (Malware) ইতিমধ্যেই জালিয়াতদের হাতে এসেছে বলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম’। এই ব্যাপারে শহরবাসীকে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্ক করা হয়েছে। তাই আয়কর দপ্তরের নামেও কেউ লিংক পাঠালে তাতে ক্লিক না করার পরামর্শ দিচ্ছে লালবাজার (Lalbazar)।

পুলিশ জানিয়েছে, আয়কর রিটার্ন (IT Return) জমা করা নিয়েই দেশের বহু মানুষের কাছে মেসেজ পাঠাচ্ছে জালিয়াতরা। কলকাতা বা এই রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয় বলেই দাবি পুলিশের। এর পিছনে রয়েছে একটি ‘ফিসিং ম্যালওয়্যার’। আয়করের টাকা ‘রিফান্ড’ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রিফান্ড করার নাম করেই চলছে জালিয়াতি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৪৩ বছর পরে বদলাচ্ছে মায়ের সাজ, বনেদিয়ানা আর পরিবর্তনের যুগলবন্দি বাগবাজার সার্বজনীনে]

লালবাজারের কাছে খবর, ইতিমধ্যে দেশের ২৭টি ব্যাংকের প্রচুর অ্যাকাউন্টে হানা দিয়েছে জালিয়াতরা। জালিয়াতির ‘মোডাস অপারেন্ডি’ অনুযায়ী, জালিয়াতরা ‘আয়কর দপ্তর’এর নাম করে মেসেজ পাঠাচ্ছে। ওই মেসেজে কেউ সাড়া দিলে বা ক্লিক করলেই একটি ওয়েবসাইট খুলবে। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, সেটি আয়কর দপ্তরের ভুয়ো ওয়েবসাইট। আয়কর দপ্তরের আসল ওয়েবসাইটের সঙ্গে তার বিশেষ পার্থক্যই নেই। ওই ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলার পর তাঁকে জানানো হয় যে, তিনি আয়কর দপ্তর থেকে বেশ কিছু টাকা ‘রিফান্ড’ পাবেন। তার প্রক্রিয়া হিসাবেই একটি জাল ফাইল খুলে ডাউনলোড করতে বলা হয়। অনেকেই সেই ফাঁদে পা দেন। সেই ফাইলে রয়েছে একটি ফর্ম। সেটি ভরতে বলা হয়। ওই ব্যক্তির নাম, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ঠিকানা, জন্মের তারিখ, মোবাইল নম্বর, ই মেল অ্যাড্রেস, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, তার আইএফএস কোড, এটিএম কার্ড নম্বর ও কার্ডের যাবতীয় তথ্য ফর্মে দিতে বলা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরনে কালো জামা-সানগ্লাস, সঙ্গী নীল-তৃণা, বাইক চড়ে ভবানীপুরে দাপিয়ে বেড়ালেন মদন মিত্র]

ওই তথ্য ফর্মে ভরার পর জানানো হয়, এবার তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আয়কর দপ্তর টাকা পাঠানোর জন্য তৈরি। তিনি ‘ট্রান্সফার’ নামে আইকনটি ক্লিক করলেই ‘এরর’ বা ভ্রান্তির মেসেজ দেখানো হয়। যতক্ষণ ওই ব্যক্তি বা ব্যাংক গ্রাহকের বিষয়টি বুঝতে সময় লাগে, ততক্ষণ তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁরই দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে জালিয়াত হাতিয়ে নিয়েছে টাকা। ব্যাংকের তথ্য জেনে টাকা হাতানোয় ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং (Jamtara Gang)বেশ পোক্ত। কিন্তু এ ছাড়াও নাইজেরীয় বা রাজস্থানের ভরতপুর অথবা অন্য কোনও জায়গার জালিয়াতরা এই জালিয়াতির পিছনে রয়েছে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তাই আয়কর দপ্তরের টাকা ‘রিফান্ড’এর কোনও মেসেজে কোনও লিংক এলে তাকে ক্লিক করতে বারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ