সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ভোটের মুখে চার পুলিশকর্তার পদ থেকে অপসারণ। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাবে বিস্ফোরক ব্যাখ্যা নির্বাচন কমিশনের। শুক্রবার রাতে কলকাতা ও বিধাননগরের নগরপাল-সহ চার শীর্ষ পুলিশকর্তার বদলির নির্দেশ ফ্যাক্স করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-কে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। শনিবারই এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করে কমিশনকে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় রাজনীতির গন্ধ পেয়েছিল তৃণমূল। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই অনুজ শর্মার জায়গায় কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদে মুকুল রায় ‘ঘনিষ্ঠ’ রাজেশ কুমারকে বসানোর ঘটনায় কেন্দ্রেরই কলকাঠি দেখেন। রবিবার মমতার চিঠির জবাবে ভোটের মুখে পুলিশকর্তা বদলির ব্যাখ্যা দিল কমিশন।
এদিন উপ নির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার জবাবি চিঠিতে নবান্নকে জানিয়েছেন, ভোটের প্রস্তুতি দেখার পর কমিশন ও বিশেষ কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতেই চার পুলিশকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার। প্রসঙ্গত, সুত্রের খবর, রাজ্যের আরও বেশ কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। বেশ কয়েক জন জেলা আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের দপ্তরে। পাশাপাশি কমিশনের নির্দেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে প্রশাসনিকস্তরে অনিহার অভিযোগও উঠছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এদিকে প্রথম দফার ভোট প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ঠিক হয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এই দুই কেন্দ্রে শুধুমাত্র স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা হবে। অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ এলাকাগুলিতে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর উপর সুরক্ষার ভার দেওয়া হবে। রাজ্যের অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, সব বুথে সশস্ত্র বাহিনী থাকবে।
[আরও পড়ুন: দেশের এই অন্যতম চর্চিত ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার সামলেছেন বিবেক দুবে]