Advertisement
Advertisement
ED

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ফাইল ডাউনলোড কেন? ব্যাখ্যা দিল ইডি

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অভিযোগ আংশিকভাবে মেনেও নিল ইডি।

ED writes to Kolkata Police over evidence planting allegations
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 27, 2023 10:56 am
  • Updated:August 27, 2023 10:56 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। তাঁদের দাবি, তল্লাশির নামে সংস্থার কম্পিউটারে এভিডেন্স প্ল্যান্ট অর্থাৎ প্রমাণ প্রতিস্থাপন করেছেন ইডির আধিকারিকরা। এবার সেই অভিযোগের জবাব দিল ইডি। কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনারকে চিঠি দিয়ে তারা পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে।

সোমবার আলিপুরের একটি সংস্থা-সহ কালীঘাটের কাকুর একাধিক ঠিকানায় রাতভর তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলেছে সেই তল্লাশি অভিযান। প্রায় ১৮ ঘণ্টার সেই তল্লাশিতে নাকি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। কিন্তু ইডির (ED) বিরুদ্ধে আবার পালটা অভিযোগ এনেছে কালীঘাটের কাকুর সংস্থা। তাঁদের দাবি, ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চলাকালীন তাঁদের কম্পিউটারে এমন ১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করেছেন, যা ওই সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। প্রমাণ প্রতিস্থাপনের চেষ্টার অভিযোগে লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানায় মামলাও দায়ের করে ওই সংস্থা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নির্বাচনের ফল বদলের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ডোনাল্ড ট্রাম্প, পরে শর্তসাপেক্ষে জামিন]

ইডি সূত্রের খবর, ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংস্থার তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে ইডি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অভিযোগ আংশিকভাবে মেনেও নিয়েছে। ওই সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি এক্সেল ফাইল যে তাঁদের তল্লাশি অভিযান চলার সময় ডাউনলোড হয়েছিল, সেটা মেনেছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সেটা প্রমাণ প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে নয় বলে দাবি ইডির।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে সম্মান করতে শিখুন’, ব্রিকসের মঞ্চে জিনপিংকে বার্তা মোদির]

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ব্যাখ্যা, তল্লাশি চলাকালীন তাদের এক আধিকারিক মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন। ওই আধিকারিকের মেয়ে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভরতি হয়েছেন। কিন্তু যাদবপুর কাণ্ডের পর হস্টেল নিয়ে ওই আধিকারিক উদ্বিগ্ন। সেকারণেই রাত ১২টা নাগাদ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটার থেকে মেয়ের জন্য নিরাপদ হস্টেল খুঁজছিলেন তিনি। সেসময় আপনা থেকেই ১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড হয়ে যায়। যদিও ইডির এই ব্যাখ্যা আদৌ যুক্তিযুক্ত কিনা, খতিয়ে দেখবে লালবাজার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ