স্টাফ রিপোর্টার: নেতাজিনগরে সম্পত্তির লোভে একা থাকা বিধবা মাকে বেদম মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এমনকী, শনিবার মায়ের ঘরের দরজাও ভেঙে দেয় ছেলেরা। এই অভিযোগ তুলে নেতাজিনগর থানায় ছেলেদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নেতাজিনগরে দোতলা পৈতৃক বাড়ি রয়েছে পাল পরিবারের। বাড়ির আসল মালকিন বীণাপাণি পাল। তিনি দু’বছর আগে মারা যান। তাঁর ছেলে জিতেন্দ্র পালের মৃত্যু হয় ২০১০ সালে। তখন থেকেই এই বাড়ির দোতলার একটি ঘরে একাই থাকতেন মা সাগরিকা পাল (৫৭)। বাড়ির একতলায় রয়েছে দোকানঘর ভাড়া দেওয়া। তাঁর বড় মেয়ে প্রতিমা পালের বিয়ে হয়েছে নেতাজিনগরেই। ছোট মেয়ে মৌমিতা বিয়ের পর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের শ্বশুর বাড়িতে থাকেন।
[ পুলিশ আবাসন থেকে উদ্ধার এএসআইয়ের দেহ, আটক স্ত্রী ]
বড় মেয়ে প্রতিমা পালের অভিযোগ, “এই বাড়ির একটি ঘরে মা একাই থাকেন। দুই দাদা সুদর্শন ও গোপাল মাকে কোনওদিন দেখতেও আসে না। এমনকী, মায়ের ঘরের জল ও আলোর লাইন কেটে দিয়েছে তারা। পিসিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দাদারা সম্পত্তির লোভে মায়ের উপর দিনের পর দিন অত্যাচার চালিয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতেও দাদারা মায়ের উপর অত্যাচার চালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। দাদাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মা আমার শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে।”
প্রতিমাদেবীর অভিযোগ, “এরপর আমরা থানায় গিয়ে দাদাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করি। পাশাপাশি মায়ের ঘরের দরজা তৈরি করার জন্য আমরা নেতাজিনগর থানার পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিই। পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পাড়ার লোকজনেরও অনুমতি নিই। সেই অনুমতি নিয়ে মা শনিবার ঘরের দরজা তৈরি করছিলেন। সেই সময় দাদারা এসে সেই দরজা ভেঙে দেয়।” প্রতিমাদেবীর অভিযোগ, “বাড়ির নিচের তলায় দোকানের ভাড়াও মাকে দেওয়া হয় না। সেই ভাড়া নিয়ে চলে যায় পিসিরা। এরপর সেই ভাড়ার টাকা ভাগাভাগি করে দাদাদের সঙ্গে। অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন আমার ৫৭ বছরের বিধবা মা। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। বাড়ি দখলের জন্য জোর করে সই করিয়ে নিতে চাইছে আমার পিসি ও দাদারা।” বিষয়টি পুরসভাতেও জানানো হবে বলে প্রতিমাদেবী জানিয়েছেন।
[ শিলিগুড়িতে ৫৫ কেজির সোনার বাট-সহ গ্রেপ্তার ২ ]