অর্ণব আইচ: ফের শহরে এক বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু। দক্ষিণ শহরতলির সার্ভে পার্কের বাড়িতে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকে ওই বাড়িতে থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িরই একতলায় থাকেন ওই বৃদ্ধার স্বামী। অথচ তিনি কেন কিছু টের পেলেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ।
[রেলে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, জালে মুকুল রায়ের শ্যালক]
মৃত ওই বৃদ্ধার নাম মঞ্জু শাহ। বয়স ৭৫। দক্ষিণ শহরতলির সন্তোষপুরের সার্ভের পার্কে একটি বাড়িতে থাকতেন মঞ্জুদেবী ও তাঁর স্বামী। তবে স্বা্মী-স্ত্রী অবশ্য একসঙ্গে থাকতেন না। বাড়ির দোতলায় থাকতেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর স্বামী থাকতেন একতলায়। প্রতিবেশীদের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে ওই বাড়িতে ইঁদুরের আনাগোনা বেড়েছিল। অল্প-বিস্তর দুর্গন্ধও বেরোচ্ছিল। প্রথমে বিষয়টিতে তেমন আমল দেননি তাঁরা। কিন্তু, শুক্রবার সকাল থেকে দুর্গন্ধের কার্যত টিকতে পারছিলেন না ওই বৃদ্ধার প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় সার্ভে পার্ক থানায়। সার্ভের পার্কের ওই দোতলা বাড়ি থেকে মঞ্জু শাহের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বেশ কয়েকদিন মারা গিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা।
[গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বালিগঞ্জ, এক মহিলা-সহ আহত ৪]
এখন প্রশ্ন, মঞ্জু শাহ তো একা থাকতেন না। বাড়ির একতলায় ছিলেন তাঁর স্বামী। তিনি কিছু টের পেলেন না কেন? ওই বৃদ্ধের দাবি, বার্ধক্যজনিত কারণে চলাফেরা করতে পারতেন না তাঁর স্ত্রী। দিনভর নিজের ঘরেই থাকতেন। একই কারণে তিনিও সিড়ি ভেঙে উপরে উঠতে পারতেন না। ওই বৃদ্ধাকে দেখাশোনা করতেন আয়া। মৃতার স্বামীর দাবি, গত কয়েক দিন ধরেই কাজ আসছিলেন না ওই মহিলা। তাই স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানতে পারেননি তিনি। যদিও প্রতিবেশীদের দাবি, মঞ্জু শাহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগতেন ঠিকই। তবে একেবারে ঘরবন্দি দশা ছিল না তাঁর। প্রতিদিন সকালেই হাঁটতে বেরোতেন মঞ্জুদেবী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ।
[স্বামী ভাগাড় চক্রের পাণ্ডা, জানার পর থেকেই রান্না বন্ধ ‘মাংস বিশু’র বাড়িতে