Advertisement
Advertisement
Jadavpur University

ছাত্রমৃত্যু থেকে শিক্ষা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা!

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সোমবার সিসিটিভি লাগানো শুরু হতে পারে। 

Ex army officials may deploy Jadavpur University । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 27, 2023 10:20 am
  • Updated:August 27, 2023 10:23 am

অর্ণব আইচ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা থেকে শিক্ষা। নিরাপত্তায় আরও জোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। সিসিটিভির পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের নিযুক্ত করার বিষয়েও ভাবনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

সূত্রের খবর, যাদবপুর ও সল্টলেক ক্যাম্পাস এবং মেন হস্টেল মিলিয়ে মোট দশটি জায়গায় মোতায়েন করা হবে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের। তিনটি শিফটের জন্য মোট ৩০ জনকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘ডিরেক্টরেট রিসেটলমেন্ট জোন (পূর্ব)’-এ রিকুইজিশন পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাতে মূলত খোলা থাকে চার নম্বর গেটটি। সেক্ষেত্রে বন্ধ গেট বা যে জায়গায় প্রয়োজন নেই সেগুলিতে নাইট শিফটে থাকা প্রাক্তন সেনাকর্মীদের দিয়ে ক্যাম্পাস টহল দেওয়ানো হতে পারে। জানা গিয়েছে, সরাসরি রেজিস্ট্রারের অধীনে থেকে কাজ করবে নিরাপত্তারক্ষীদের বিশেষ দলটি। ৩০ জন প্রাক্তন সেনাকর্মীর জন্য বার্ষিক প্রায় সাড়ে তিন কোটি অর্থব্যয় হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সেনা পোশাক’ বিতর্কে পুলিশের জালে সংস্থার কর্ণধার]

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দু’টি ক্যাম্পাস ও হস্টেল মিলিয়ে মোট দশটি জায়গায় লাগানো হবে ২৬টি ক্যামেরা। তার মধ্যে ২১টি বুলেট ক্যামেরা ও ৫টি এনপিআর (নম্বর প্লেট রেকগনাইজেশন) ক্যামেরা। ইতিমধ্যেই ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডকে ওয়ার্ক অর্ডার পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদবপুর ক্যাম্পাসটিই প্রায় ৬৭ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে। সেখানে মাত্র ২৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে কতটা নজরদারি সম্ভব? প্রশ্ন ছাত্র-সহ বিভিন্ন মহলের।

Advertisement

এ বিষয়ে বুদ্ধদেববাবুর বক্তব্য, “ছাত্ররা এখানে পড়াশোনা করতে এসেছে। সিসিটিভি কীভাবে কাজ করে সেটাই এখানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ানো হয়। ওরা পড়ানোর আগেই যদি বুঝে যায় যে সিসিটিভি কোথায় কী হয়, সেটা তো হয় না।” কেন গোটা ক্যাম্পাসকে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে না? উঠছে সেই প্রশ্নও। শুধু গেট নয়। সর্বত্র সিসিটিভির পক্ষে সওয়াল করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “আজকের দিনে সিসিটিভি ভীষণ জরুরি। পাড়ায় সিসিটিভি থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আপত্তি কোথায়। সর্বত্র দেওয়া উচিত সিসিটিভি।”

সিসিটিভি নিয়ে এর আগেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারণ, সিসিটিভি লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও শনিবার পর্যন্ত বসেনি একটিও সিসিটিভি। কেন এত বিলম্ব? কবে বসবে সিসিটিভি? অস্থায়ী উপাচার্যর কথায়, “আমি ওয়ার্ক অর্ডারে অনুমোদন দিয়েছি। রাজ্য সরকারের সংস্থাকে তা পাঠানো হয়েছে। আশা করি, সরকারি সংস্থা, তারা খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেবে।” কবে সিসিটিভি বসবে, সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তরে এদিন কার্যত মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সোমবার সিসিটিভি লাগানো শুরু হতে পারে। 

[আরও পড়ুন: বনগাঁ সীমান্তে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার সোনা, বিএসএফের জালে পাচারকারী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ