Advertisement
Advertisement
জালিয়াতি

চাকরির নামে কোটি টাকার জালিয়াতি, ধৃত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী

জালিয়াতির ফাঁদে পা দিয়েছিলেন শিক্ষক, অধ্যাপক এবং সেনাবাহিনীর অফিসারও।

Fake job racket busted, one man arrested from sreerampore

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 18, 2019 5:06 pm
  • Updated:August 18, 2019 5:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভাল জায়গায় বদলি ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জালিয়াতির ফাঁদ পেতেছিল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী অঞ্জন সেনগুপ্ত। এই ফাঁদ পেতে সে বাজার থেকে হাতিয়ে নিয়েছিল প্রায় কয়েক কোটি টাকা। এরপর গা-ঢাকা দিয়েছিল টানা দু’বছর। তাতেও শেষরক্ষা হল না। শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করল নিউ আলিপুর থানার পুলিশ।

[আরও পড়ুন:স্টেশনের সংগীতচর্চা থেকে পুজো প্যান্ডেলে ছড়াল সুর, থিম সং গাইলেন রানাঘাটের লতাকণ্ঠী রানু]

বেলঘরিয়ার ফিডার রোডের বাসিন্দা অঞ্জন সেনগুপ্ত। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরই সে জালিয়াতির ফাঁদ পাতে। এমনকী, গোঁফ কেটে সে নিজের চেহারাও পালটে ফেলে। সকলের কাছেই সে নিজেকে উচ্চপদস্থ আমলা বলে পরিচয় দিত বলে জানা গিয়েছে। আর সেসব কথা শুনে বিশ্বাস করে সেই পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খোয়ান অনেকেই। ভাল জায়গায় বদলির প্রতিশ্রুতি, কারও পদোন্নতি, কেউ আবার ভাল জায়গায় সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় লক্ষ লক্ষ টাকা দেন বেলঘরিয়ার অঞ্জন সেনগুপ্তকে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তার এই জালিয়াতির ফাঁদে পা দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন স্কুল শিক্ষক, অধ্যাপক এবং সেনাবাহিনীর অফিসারও।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই জালিয়াতির চক্র চালায় অঞ্জন। প্রথমে তার বিরুদ্ধে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রুমি সেন নামে বেসরকারি হাসপাতালের এক নার্স। তাঁর অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে অঞ্জন তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই অঞ্জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। এরপরই বেলঘরিয়ার ফিডার রোডের বাড়ি ছেড়ে বেপাত্তা হয়ে যায় সে। 

Advertisement

গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে তদন্ত শুরু করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। কোনওক্রমে অঞ্জনের মোবাইল নম্বর পেয়ে যান তদন্তকারীরা। সেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই জানা যায় তার শ্রীরামপুরের অবস্থান। অবশেষে শুক্রবার রাতে শ্রীরামপুরে হানা দিয়ে ওই জালিয়াতকে গ্রেপ্তার করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, অঞ্জনের ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টগুলিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার এই ১৪টি অ্যাকাউন্টে মোট কত টাকা রয়েছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন:গোড়া থেকেই একাধিক সিগন্যাল ভেঙেছে পারভেজ, সিসিটিভি ফুটেজে মিলল নয়া তথ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ