অর্ণব আইচ : ম্যানহোল থেকে ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকায়। কোথা থেকে ভ্রূণটি ওই জায়গায় এল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারাই বা সেটি ফেলে গিয়েছে, জানতে তদন্ত শুরু করেছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ।
[ আউটডোরের লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীর মৃত্যু, উত্তেজনা এসএসকেএম হাসপাতালে ]
জানা গিয়েছে, সোমবার সাতসকালে বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায় পরিষ্কারের কাজে যান পুরসভার কর্মীরা। সেখানে একটি ম্যানহোল পরিষ্কারের সময় তাঁদের চোখে পড়ে, কিছু একটা ভাসছে। দেখা যায়, ভাসমান বস্তুটি আসলে একটি ভ্রূণ। ম্যানহোল থেকে ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। তারা ভ্রূণটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। কিন্তু কীভাবে ম্যানহোলের ভিতরে মিলল ভ্রূনটি? ম্যানহোলে ফেলে দেওয়ার পরেই কি ভ্রূণটি নিষ্প্রাণ হয়ে পড়েছে? নাকি মৃত ভ্রূণটিকেই ওই জায়গায় ফেলে যাওয়া হয়েছিল? এইসব প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, গর্ভস্থ অবস্থায় ভ্রূণটির কোনও অসুস্থতা ছিল কিনা, সে বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কিছুদিন আগে, গর্ভস্থ সন্তান অসুস্থ হওয়ায় ভ্রূণ নষ্টের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল দুই দম্পতি। পর্ণশ্রীতে ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনাটির সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কি না, তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
[শিশুচোর সন্দেহে শহরে ফের গণপিটুনি, আক্রান্ত মানসিক ভারসাম্যহীন]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যানহোলের কাছাকাছি কোনও হাসপাতাল নেই। ফলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রমাণ লোপাটের জন্যই দূরবর্তী কোনও এলাকা থেকে ভ্রূণটি ওই এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই শনাক্ত করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বর্তমান সময়ে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন রাজ্য প্রশাসন। তা সত্ত্বেও এমন সময়ে ম্যানহোল ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সমাজব্যবস্থা। এই ঘটনার সঙ্গে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ সংক্রান্ত কোনও বেআইনি কাজের যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।