Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘সব দোষ কি আমার?’, প্রশ্ন জি ডি বিড়লার অপসারিত প্রিন্সিপালের

দু'জন আয়া-সহ স্কুলের চারজনকে লালবাজারে ম্যারাথন জেরা।

Finally GD Birla's sacked principal opens up, claims incocence
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 7, 2017 1:11 pm
  • Updated:September 20, 2019 5:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  প্রায় এক সপ্তাহ পার। অবশেষে জি ডি বিড়লাকাণ্ডে মুখ খুললেন অপসারিত প্রিন্সিপাল শর্মিলা নাথ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘সব দোষ কী আমার? আমি জানি,বাচ্চাদের ভালর জন্য কতটুকু করেছি।’ অপসারিত প্রিন্সিপালের অভিযোগ, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সম্পর্কে না জেনেই বিচার করা হচ্ছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল  নির্যাতিতা শিশুটি। এদিন থেকে ফের পঠনপাঠনও শুরু হয়েছে জি ডি বিড়লা স্কুলে।

[অভিভাবকদের চাপে ‘অপসারিত’ প্রিন্সিপাল, বৃহস্পতিবারই খুলছে জি ডি বিড়লা স্কুল]

Advertisement

শহরের অন্যতম নামী স্কুল জি ডি বিড়লা। সেই স্কুলের চার বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনে তোলপাড় গোটা রাজ্য। অভিযুক্ত স্কুলের দু’জন পিটি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্কুলের প্রিন্সিপাল শর্মিলা নাথের। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিন্সিপালকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। অভিভাবকদের লাগাতার আন্দোলনের চাপে বুধবার প্রিন্সিপাল শর্মিলা নাথকে বরখাস্ত করেছে জি ডি বিড়লা স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও এতকিছুর পরও স্কুলে এক শিশুর যৌন নির্যাতনের ঘটনার দায় নিতে নারাজ অপসারিত প্রিন্সিপাল শর্মিলা নাথ। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। আত্মপক্ষ সমর্থনে অপসারিত প্রিন্সিপালের বক্তব্য, ‘সব দোষ কি আমার?  আমি জানি, বাচ্চাদের ভালর জন্য কতটুকু করেছি। প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার সম্পর্কে না জেনেই বিচার করা হচ্ছে।’ যদিও অভিভাবকদের অভিযোগ, গত তিন বছরে এই প্রিন্সিপালের আমলে জি ডি বিড়লা স্কুলে আরও এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। সেসময় ব্যবস্থার নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, কিছুই করেননি প্রিন্সিপাল। ফলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।

Advertisement

[জি ডি বিড়লা কাণ্ডে নির্যাতিতা শিশুর মেডিক্যাল টেস্ট এসএসকেএম-এ]

এদিকে বৃহস্পতিবার জি ডি বিড়লা স্কুলের ১ জন শিক্ষক, ২ আয়া-সহ চারজন লালবাজারে ম্যারথান জেরা করেন তদন্তকারকারীরা।  ঘটনার দিন ওই ২ জন আয়া শৌচাগারের দায়িত্বে ছিলেন। এঁদের মধ্যে একজন নির্যাতিতা শিশুটিকে স্কুল থেকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু, ওই আয়া কেন স্কুলকে কিছু জানালেন না?  কেনই বা তড়িঘড়ি শিশুটিকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিলেন?  তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, জেরায় ঘটনার দিন অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে স্কুলে শেষ কোথায় দেখা গিয়েছিল, তাও জানতে চান তদন্তকারীরা। এদিকে, বুধবার রাতে বাড়িতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে নির্যাতিতা শিশুটি। রাতে তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করে পরিবারে লোকেরা। বৃহস্পতিবার শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান শিশুরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অন্যান্য চক্রবর্তী।  পরে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

[ঐহিক-এর আয়োজনে শহরে সীমানাহীন সাহিত্যের উৎসব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ