Advertisement
Advertisement

Breaking News

একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের জের, সব বহুতলে বাধ্যতামূলক হচ্ছে ফায়ার অডিট

শপিং মল-রেস্তরাঁগুলিতেও বাড়তি নজর, জানালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

Fire Audit mandatory for High Rises
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 27, 2018 5:46 pm
  • Updated:November 27, 2018 5:49 pm

সন্দীপ চক্রবর্তী: একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আর তার জেরে বিশাল পরিমাণ সম্পত্তি নষ্ট হওয়া এমন দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন মহলের অভিমত, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পিছনে থাকে অবহেলা, অজ্ঞতা। তাই এই অবহেলা ঠেকাতেই যে কোনও বহুতলে ফায়ার অডিট বাধ্যতামূলক করতে চলেছে সরকার।

[পরকীয়ায় আর আগ্রহ নেই গৃহবধূর, অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরালের হুমকি যুবকের]

Advertisement

যে কোনও বাণিজিক্য আবাসন-সহ বহুতলে প্রতি বছর ফায়ার অডিট করতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী এদিন বিধানসভায় জানিয়েছেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে কঠোর করতে দমকল কোনওরকম আপস করবে না। প্রতি বছর সমস্ত বহুতলে ফায়ার অডিট করতেই হবে। এর আওতায় যেমন থাকবে বহুতল বসতবাড়ি বা ফ্ল্যাট, তেমনই শপিং মল, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল বা অন্যান্য বাণিজ্যিক আবাসনও এর আওতায় আসবে। দমকল মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন অগ্নিনির্বাপণ বিধি মেনে ফায়ার অডিট না করলে সংশ্লিষ্ট বহুতলের লাইসেন্স দেওয়া হবে না। বন্ধ করে দেওয়া হবে কাজ। এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, গত এপ্রিল থেকে এ বছর অক্টোবর পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে রাজে্য ৪৬২৯টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তিনি আরও জানান, বাগরি মার্কেটে পাঁচ হাজার বর্গফুটে বিধ্বংসী আগুন লাগে। সেই অগ্নিকাণ্ডে ছটি ব্লকের মধে্য একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দমকল সূত্রে খবর বস্তুত ফায়ার অডিট করার বিধি থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। ফলে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নষ্ট হয় সম্পত্তি। ক্ষতির মুখে পড়েন ছোট ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এই অব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতেই লাগাম টানছে দমকল দপ্তর।

Advertisement

[এবার বাড়িতে জল জমলে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা!]

এদিন বিধানসভায় মন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, গত আর্থিক বছরে ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তর ১০ কোটি টাকা লাভ করেছে। লেনদেন হয়েছে ২০৪ কোটি টাকা। তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন, বাম জমানায় শেষ বছরে এই দফতরে টার্নওভার ছিল ৫৫ কোটি টাকা। ক্ষতি হয়েছিল ১২.৬৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে সরকারি সংস্থা মঞ্জুসা চলতি বছরে লাভ করেছে ৩.৩৯ কোটি টাকা। চলতি বছরে এই সংস্থার ব্যবসায়িক লেনদেনের পরিমাণ ৭২.৭ কোটি টাকা। এই বছর রাজ্যের দশটা জেলায় বৃষ্টি অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম হয়েছে। এই খবর জানিয়ে এদিন বিধানসভায় মন্ত্রী সোমেন মহাপাত্র বলেছেন, এই অবস্থায় কৃষকদের শষ্য চাষে বদল আনতে হবে। যাতে তারা আরও বেশি লাভের মুখ দেখতে পান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ