অভিরূপ দাস: ধাওয়া করে ‘দুষ্টু লোক’ ধরলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) স্ত্রী রুবি হাকিম। ‘টক টু মেয়রে’ শনিবার সেই গল্প শোনালেন মেয়র। ব্যাপারটা কী?
সম্প্রতি গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম আর তাঁর স্ত্রী রুবি হাকিম। এই সময় সামনে একটি গাড়ি থেকে খালি চিপসের প্যাকেট রাস্তায় ছুঁড়ে মারেন যাত্রী। চোখের সামনে এ ঘটনা দেখেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন মেয়রের স্ত্রী। স্বামী রাস্তা পরিষ্কার রাখতে প্রাণপাত করছে। সেই শহরেই এরকম! দ্রুত নিজের গাড়ির চালককে রুবি নির্দেশ দেন, এক মিনিটের জন্য দাঁড়াও। খালি চিপসের প্যাকেটটা কুড়িয়ে নেন তিনি। ড্রাইভারকে বলেন, “সামনের গাড়িটাকে ওভারটেক কর জলদি।” ফিরহাদের কথায়, “আমি তখনও বুঝতে পারিনি কী হতে চলেছে। কথামতো মেয়রের গাড়ির ড্রাইভার সেই গাড়িটিকে ওভারটেক করে রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। কী ব্যাপার? বিরক্ত মুখে গাড়ি থামিয়ে দরজা খোলেন অভিযুক্ত গাড়ির আরোহী।” নেমেই থ। তার গাড়ি আটকেছে স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম! তার পর?
মেয়রের কথায়, আমার স্ত্রী কোনও খারাপ ব্যবহার করেনি। শুধু ভদ্রভাবে তাঁকে বলেছে, আপনার গাড়ি থেকে মূল্যবান একটা জিনিস পড়ে গিয়েছিল। সেটাই ফেরত দিতে এলাম।” ওই ফাঁকা চিপসের প্যাকেট তাঁকে ফিরিয়ে দেন রুবি হাকিম। ঘটনায় অত্যন্ত লজ্জা পেয়ে যান ওই অভিযুক্ত। মেয়রের কথায়, যিনি এই কাজটা করেছেন আশা করা যায় আর তিনি এই কাজ করবেন না। মেয়রের কথায়, “শহরের কিছু কিছু জায়গায় দেখছি নিজেরা আবর্জনা পোড়াচ্ছেন। এটাও করবেন না। এতে বায়ুদূষণ হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে নীল সবুজ বালতি দেওয়া হয়েছে। পচনশীল আর অপচনশীল আবর্জনা আলাদা করে আমাদের দিন। বানতলায় বেআইনি ট্যানারি চলছে। চামড়ার গুঁড়োগুলো ড্রেনে ফেলে দিচ্ছেন। সেগুলো নালা বন্ধ করে দিচ্ছে। এটা করবেন না।”
শহরের রাস্তায় জঞ্জাল ফেলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু মানেন না অনেকেই। একাধিক বার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফোনে অভিযোগ আসে, “বাড়ির পাশের খালি জমিতে ময়লা ফেলে পালাচ্ছেন কেউ কেউ।” এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “মানুষ সচেতন না হলে শহরকে পরিষ্কার রাখা অসম্ভব। যে কোনও আধুনিক শহরে মানুষকে সচেতন হতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.