কৃষ্ণকুমার দাস: দুর্নীতির অভিযোগে কোণঠাসা রাজ্যের শাসকদল, দুই নেতা জেলে। লাগাতার আক্রমণ করছে বিরোধীরা। এরই মধ্যে বিধানসভার (Assembly) বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশনে বিজেপি যাতে দুর্নীতি ইস্যুতে চেপে ধরতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে আগেভাগেই বিধায়কদের সতর্ক করে দিল তৃণমূল (TMC) শীর্ষ নেতৃত্ব। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা স্পষ্ট করে দিলেন, কারও দুর্নীতির দায় দল নেবে না। আর বিধানসভায় বিরোধীরা ‘চোর’ বলে আক্রমণ করতে এলে তাঁদের পালটা দিতে হবে যুক্তি দিয়ে।
নবান্ন (Nabanna) অভিযানের পর এই বিধানসভা অধিবেশনকেই নিজেদের প্রতিবাদের মঞ্চ বানাতে চলেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এই সম্ভাবনা আঁচ করেই অধিবেশন কক্ষে বিধায়কদের মনোবল ধরে রাখার টোটকা দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিনের পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) যেমন স্পষ্টই স্বীকার করে নেন যে পার্থর জন্য দলের ক্ষতি হয়েছে। যারা দোষী তাদের জন্য নিজেদের দোষী ভাববেন না। কারও দুর্নীতির দায় দল নেবে না।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি, ঘাসফুলে মিশে গেল আস্ত একটা দল]
ফিরহাদ হাকিম এদিন দলীয় বিধায়কদের বলেন, “গত কয়েকমাসে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযান এবং কেন্দ্রের শাসকদলের আক্রমণে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। আমাদের দলের নেতাদের সামাজিক সম্মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘটনায়, তাঁর আচরণ এবং তাঁকে ঘিরে যা যা সংবাদমাধ্যমে এসেছে, সেটা আমাদের দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।” এখানেই শেষ নয়, ফিরহাদ ঘনিষ্ঠ মহলে একাধিকবার বলছেন, এর আগেও আমি একাধিকবার জেলে গিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে আন্দোলন করতে নেমেছি, জেলে যেতে ভয় পাই না। কিন্তু এখন একটা ভয় পেয়ে বসেছে। দেখা যাচ্ছে আমাদের গ্রেপ্তার করে পার্থর মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। তাতে আমাদের সামাজিক সম্মানহানি হবে।
[আরও পড়ুন: আরএসএসের জ্বলন্ত খাকি শর্টসের ছবি পোস্ট কংগ্রেসের, পালটা নেহরুর হাফপ্যান্ট পরা ছবি দিল হিমন্ত]
দলীয় বিধায়কদের উদ্দেশে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের টোটকা, বিরোধীদের সমালোচনার পালটা জবাব দিন আক্রমণাত্মকভাবে। নিজেদের ভাবমূর্তি যথাযথ রাখুন। মনে রাখবেন একজন চুরি করলে বাকিরা দোষী নয়। বিধানসভায় বিরোধীরা আক্রমণাত্মক হলে, যুক্তি দিয়ে তাদের চেপে ধরুন। ব্যক্তি ভুল করলে দায় নেবে না দল। বিরোধীরা ‘চোর চোর’ বললে চেপে ধরুন, পাল্টা আক্রমণ করুন। পরিষদীয় মন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- নবান্ন অভিযানের পর এই বিধানসভা অধিবেশনকেই নিজেদের প্রতিবাদের মঞ্চ বানাতে চলেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
- এই সম্ভাবনা আঁচ করেই অধিবেশন কক্ষে বিধায়কদের মনোবল ধরে রাখার টোটকা দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
- এদিনের পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যেমন স্পষ্টই স্বীকার করে নেন, যে পার্থর জন্য দলের ক্ষতি হয়েছে।