Advertisement
Advertisement
Pathological Autopsy

মৃত সন্তান প্রসব, কারণ খুঁজতে শিশুর ময়নাতদন্ত, প্রথম প্যাথলজিক্যাল অটোপসি রাজ্যে

ময়নাতদন্তের আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

First pathological autopsy of a child in West Bengal | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 10, 2022 12:44 pm
  • Updated:July 10, 2022 12:47 pm

স্টাফ রিপোর্টার : ইন্ট্রা ইউটেরিয়ান ফিটাল ডেথ (IEUFD)। গর্ভস্থ সন্তান মৃত অবস্থায় প্রসব হলে চিকিৎসকরা এই পরিভাষাই ব্যবহার করেন। কিন্তু এমন ঘটনা কেন হয়? না, এখনও পর্যন্ত কারণ তেমনভাবে স্পষ্ট নয়। কিন্তু এই বিষয়ে যথেষ্ট গবেষণাও চলছে। কিন্তু সমস্যা হল মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত না হলে কারণ স্পষ্ট হবে না। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম এমন ময়নাতদন্ত হতে চলেছে। বস্তুত বেনজির ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে কলকাতা।

আগামী সোমবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (R G Kar Medical College and Hospital Government hospital) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোমনাথ দাস মৃত শিশুটির ময়নাতদন্ত করবেন। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গে IEUFD (ইন্ট্রা ইউটেরিয়ান ফিটাল ডেথ) ময়নাতদন্ত ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। আগ্রহ চিকিৎসকদের মধ্যে। এবং এই ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গণদর্পণ। এমন ময়নাতদন্তের জন্য আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রথের মেলায় গ্যাস বেলুন ফোলানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ১০ ফুট দূরে গিয়ে পড়লেন বিক্রেতা]

স্বাস্থ্য ভবন ও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, পাঞ্জাবের রূপনগর থেকে দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরে দিন কয়েক আগে আসেন সন্তানসম্ভবা রূপা বিশ্বাস ও তাঁর স্বামী নভোনীত সিং। নিউ আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার সকালে ওই গর্ভবতী একটি মৃত পুত্রসন্তান প্রসব করেন। এই ঘটনার পর বিষয়টি নাটকীয় মোড় নেয়। ওই দম্পতি মৃত পুত্র সন্তানের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা জানতে চান গর্ভস্থ শিশু সুস্থ, কিন্তু মৃত অবস্থায় কেন প্রসব হল। এর পরেই এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ মৃত শিশুটি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আচমকা অসুস্থ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, ভরতি হাসপাতালে]

বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোমনাথ দাসের কথায়, “হঠাৎ করে কেন বাচ্চা মায়ের গর্ভে মারা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা জানা যায় না। বিষয়টি অস্পষ্ট। কিন্তু মৃত শিশুর প্যাথলজিক্যাল অটোপসি করলে বোঝা সম্ভব মৃত শিশুর কী সমস্যা ছিল। ক্রোমোজোমের সমস্যা হতে পারে।” সোমনাথবাবুর কথায়, “যদি কারণ জানা যায়, ভবিষ্যতে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করলে সমস্যা কমতে পারে।” পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মন্দিরা দাশগুপ্তর কথায়, “শিশু গর্ভে দিব্যি ভাল। ডাক্তারও স্বস্তিতে। কিন্তু জন্ম নিল মৃত সন্তান। এর কারণ জানা নেই। তবে প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি করে পরবর্তী সন্তানের ক্ষেত্রে সাবধানতা নিলে আদতে লাভ।” তিনি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ