অর্ণব আইচ: আরও চার বিএসএফ জওয়ানের শরীরে ধরা পড়ল করোনার জীবাণু। তাঁদের মধ্যে একজন আবার দিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফের ডিআইজি সুরজিৎ সিং গুলেরিয়া জানান, চারজন করোনা আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানের চিকিৎসা হচ্ছে সল্টলেকের বিএসএফ হাসপাতালে। এবার থেকে বিএসএফের করোনা আক্রান্তদের এই হাসপাতালেই যাতে চিকিৎসা হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিএসএফের ৬০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে মোট ১০ জন জওয়ান ও গাড়ির চালকের শরীরে ধরা পড়েছে মারণ ভাইরাস। তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই কোনও না কোনওভাবে দিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে ছিলেন। টিমের সদস্যরা দিল্লি চলে যাওয়ার পর প্রথমে কনভয়ের পাইলটে থাকা এক চালকের শরীরে করোনা পজিটিভ দেখা যায়। যদিও ওই গাড়ির চালক গত ৩০ এপ্রিল থেকেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এরপর কনভয়ের পাইলটে থাকা বিএসএফের আরও পাঁচ চালক ও জওয়ান করোনা আক্রান্ত হন। তখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ডিজিটাল নয়, পুরনো কার্ডেও বিনামূল্যে মিলবে রেশন, সিলমোহর নবান্নের]
সম্প্রতি তাঁদের আরও একজন জওয়ান করোনার কবলে পড়েন। তিনি কেন্দ্রীয় টিমের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এরপর তাঁর সঙ্গে ব্যারাকে থাকা আরও কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে তাঁদের লালারস পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজনের পরীক্ষার ফল আসে কোভিড-১৯ পজিটিভ। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ৬ জনকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, এর মধ্যেই সল্টলেকে বিএসএফের নিজস্ব হাসপাতালে একটি অংশকে কোভিড চিকিৎসার জন্য তৈরি করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি যে চারজনের শরীরে করোনার জীবাণু ধরা পড়েছে, তাঁদের বিএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এরপর বিএসএফ জওয়ান ও আধিকারিকদের মধ্যেও নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। যদিও বিএসএফ কর্তারা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। তাঁদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।