সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারদা মামলার মোট চার ট্রাঙ্ক নথি পৌঁছে দেওয়া হল সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দপ্তরে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার মোট চার ট্রাঙ্ক নথি পুলিশি হেফাজত থেকে সিবিআই-এর হাতে আসায় তদন্তে গতি এসেছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী বিক্ষোভে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি]
শুক্রবার সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর সিজিও কমপ্লেক্সে যান সারদা চিটফান্ড মামলার তদন্তকারী অফিসার তথাগত বর্ধন। সিবিআইয়ের অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে, রাজীব কুমারের প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ করে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এদিকে পুলিশের তরফে চার ট্রাঙ্ক নথি সিবিআইকে কেন এতদিন পর দেওয়া হল তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সে প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সিবিআই নোটিস দিয়ে তা না চাওয়ায় নথিগুলি নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল পুলিশ। সুদীপ্ত সেনের মিডল্যান্ড পার্কের দপ্তর থেকে কী কী নথি সংগ্রহ করেছিলেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ল্যাপটপ-সহ আটক পেনড্রাইভ, ডায়েরি কোথায় রয়েছে এবং দেবযানীর ল্যাপটপ ফরেনসিক টেস্ট না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় কেন? এ বিষয় জানতে তৎকালীন তদন্তকারী অফিসার শংকর ভট্টাচার্য ও আর এস মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই কর্তারা। এদিকে হাই কোর্ট রাজীব কুমারকে শর্তসাপেক্ষ রক্ষাকবচ দেওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই। ফলে রাজীবকে কী করে হাতে পাওয়া যাবে এবং আইনি কোনও পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসে সিবিআই কর্তারা।
উল্লেখ্য, রাজীব কুমার সিবিআইয়ের পাঠানো সমন এড়িয়ে যাওয়ার পর, বিধাননগরের প্রাক্তন হয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। তারপর জেরার জন্য হাজিরা দিতে বলা হয় বিধাননগর থানার এএসআই আর এস মোল্লাকে। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় কর্তব্যরত থাকাকালীন সুদীপ্ত সেনের মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে হানা দিয়ে বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেন তিনি। দু’দিন টানা জেরার পরই দেখা যায় সল্টলকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দপ্তরে চার ট্রাঙ্ক ভর্তি সারদা সংক্রান্ত নথি পৌঁছে দেয় পুলিশ। অনেকেই মনে করছেন, কান টানলে মাথা আসার মতো অর্ণবকে টানতেই এই নথিগুলি বেরিয়ে এসেছে। তাই এবারে পোক্ত পরিকল্পনা করেই রাজীবের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: খারাপ ফল নিয়ে অরূপ-অনুব্রতকে প্রশ্ন মমতার, দায়িত্ব কমল পার্থর]