Advertisement
Advertisement
সাইবার

স্যুট-বুট পরা প্রতারকদের ফাঁদ খাস কলকাতায়, গ্রেপ্তার ১১

বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার থানার অভিযানে পাকড়াও অভিযুক্তরা৷

Fraud racket busted in New Town under Bidhannagar Police

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Tanujit Das
  • Posted:June 9, 2019 8:45 am
  • Updated:June 9, 2019 8:45 am

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: শহরে নয়া প্রতারণা চক্রের হদিশ। অভিনব উপায়ে গ্রাহকের টাকা হাতানোর পর্দা ফাঁস। পুলিশের জালে ১১ জালিয়াত। তাদের মধ্যে একজন বি টেক ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাস্থল নিউটাউনের একটি বহতল। সুসজ্জিত অফিস। একাধিক তরুণ-তরুণী সেখানে কাজ করেন। নামে কল সেন্টার। কিন্তু তার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ব্যবসার দুনিয়া জোড়া ফাঁদ পাতা রয়েছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। এমনকী পুলিশও না।

[ আরও পড়ুন: আরও স্পষ্ট প্রদেশ কংগ্রেসের ফাটল! সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও এলেন না অধীর ]

Advertisement

কীভাবে জালিয়াতি করত এই দলটি? প্রতারণার এক নয়া উপায় উদ্ভাবন করেছে এই চক্র। অনলাইন একটি শপিং সাইটের ডেটাবেস জোগাড় করে জালিয়াতি চালাচ্ছিল চক্রটি। ডেটাবেসে নাম থাকা যেসব গ্রাহক ওই শপিং সাইট থেকে অর্ডার দিয়ে জিনিস কিনেছিলেন তাঁদের কয়েকজনকে বেছে বেছে ফোন করত এই চক্রে জড়িত অভিযুক্তরা। ফোনে পুরস্কার জেতার টোপ দিয়ে সেইসব গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করা হত। পুরস্কার হিসেবে আই ফোন, ল্যাপটপ, এলইডি টিভি ইত্যাদি দেওয়ার কথা বলত চক্রটি। অনলাইন সাইটের মাধ্যমে কেনা দ্রব্যের যাবতীয় তথ্য গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরে তাঁদের বিশ্বাস উৎপাদন করে পুরস্কারের টোপ সামনে রাখত। ফলে সহজেই টোপ গিলতেন গ্রাহকরা। পুরস্কারের কথা জানানোর পর গ্রাহকদের বলা হত অনলাইন সাইটটির মাধ্যমে অন্য যে কোনও একটি জিনিস কিনলেই পুরস্কারটি তাঁকে দেওয়া হবে। তাঁদের বিভিন্ন পেটিএমের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে নয়া অর্ডারি দ্রব্যটির পেমেন্ট করতে বলত চক্রটি। গ্রাহকরা অর্ডার করে বলে দেওয়া অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দেওয়ার পর সেই টাকা হাপিস করে দিত জালিয়াতরা। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে মোটা টাকা প্রতারণা করে যাচ্ছিল চক্রটি বলে পুলিশের কাছে গোপন সূত্র থেকে খবর আসে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: আগুন দেখে মধ্যরাতে কালী মাসির চিৎকার, বাঁচল ২৩টি প্রাণ ]

তারপর অভিযানে নামে বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার থানা। শুক্রবার নিউটাউনের অ্যাসট্রা টাওয়ার বহুতলের দু’তলায় সাউথ টাওয়ারের একটি অফিসে হানা দেয় পুলিশ। ঝাঁ চকচকে অফিসে ঢুকে হাবভাবে ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন পোড় খাওয়া আধিকারিকরাও। তারপর উপর্যুপরি জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসে। জালিয়াতির ব্যবসায় জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৭ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষ। একজন বি টেক ইঞ্জিনিয়ার বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে জালিয়াতির ৯৩ হাজার টাকা, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক ও পেটিএম ও এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। শনিবার আদালতে পেশ করা হয় জালিয়াতি চক্রের ১১ জনকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ