Advertisement
Advertisement

দুর্ঘটনা কমাতে সরকারি বাসে বসছে গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্র

দু'মাসের মধ্যে পাঁচটি পরিবহণ নিগমের সমস্ত পুরনো বাসে বসানো হবে স্পিড গভর্নরস৷ পরিবহণ দফতরের তৈরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ দিন দুয়েকের মধ্যেই প্রতিটি এসটিওকে এই গতিরোধক যন্ত্র বসানোর নির্দেশ পাঠানো হবে৷ প্রথমে সরকারি নিগমের বাস পরে বেসরকারি বাস ও ট্রাকে এই যন্ত্র বসানো হবে৷ মাস দুয়েক আগে কলকাতায় এসে গতি নিয়ন্ত্রক এই যন্ত্র বসানোর ক্ষেত্রে রাজ্যকে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রোড সেফটি কাউন্সিলের সদস্য কমলজিত্‍ সই৷ জানিয়েছিলেন, জাতীয় সড়কে এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে রাজ্যের কী কী করা উচিত৷

Govt. Bus will get speed governers to prevent accident
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 30, 2016 1:52 pm
  • Updated:May 30, 2016 1:52 pm

নব্যেন্দু হাজরা: দু’মাসের মধ্যে পাঁচটি পরিবহণ নিগমের সমস্ত পুরনো বাসে বসানো হবে স্পিড গভর্নরস৷ পরিবহণ দফতরের তৈরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ দিন দুয়েকের মধ্যেই প্রতিটি এসটিওকে এই গতিরোধক যন্ত্র বসানোর নির্দেশ পাঠানো হবে৷ প্রথমে সরকারি নিগমের বাস পরে বেসরকারি বাস ও ট্রাকে এই যন্ত্র বসানো হবে৷ মাস দুয়েক আগে কলকাতায় এসে গতি নিয়ন্ত্রক এই যন্ত্র বসানোর ক্ষেত্রে রাজ্যকে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রোড সেফটি কাউন্সিলের সদস্য কমলজিত্‍ সই৷ জানিয়েছিলেন, জাতীয় সড়কে এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে রাজ্যের কী কী করা উচিত৷ গতি নিয়ন্ত্রক এই যন্ত্র বসানো হলে অনেকটাই দুর্ঘটনা কমবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ রাজ্য সরকারের তরফেও জানানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো গাড়িতে স্পিড গভর্নরস বসানোর আইন চালু হয়েছে৷ তাই তা দ্রূত কার্যকর করা হবে৷ তড়িঘড়ি তৈরি করা হয়েছে কমিটি৷ সেই কমিটির সুপারিশেই এই সিদ্ধান্ত৷
পরিবহণ দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় হাজার দুয়েক পুরনো বাস সিএসটিসি, এসবিএসটিসি, এনবিএসটিসি, ডব্লুবিএসটিসি, সিটিসিতে রয়েছে৷ সেই বাসেই বসবে নতুন এই যন্ত্র৷ বাস প্রস্তুতকারক সংস্থাই এই যন্ত্র বসানোর কাজ করবে৷ নতুন বাসে এই যন্ত্র বসানো রয়েছে৷ ফলে প্রয়োজন নেই৷ শুধু পুরনো বাসেই বসবে এই যন্ত্র৷ পাশাপাশি বেসরকারি বাস এবং ট্রাক মালিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন মালিকের কোন কোম্পানির বি-এস থ্রি বাস রয়েছে৷ সেই তথ্য দফতরের হাতে এলে ওই সংস্থাগুলোকে ডেকে পাঠানো হবে৷ তারপর বেসরকারি বাস এবং ট্রাকে শুরু হবে এই যন্ত্র বসানোর কাজ৷ কারণ যে সংস্থার গাড়ি সেই সংস্থাই এই যন্ত্র গাড়িতে লাগাতে পারবেন৷ অন্য কোনও সংস্থা তা লাগালে সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ তবে প্রাথমিকভাবে যন্ত্র বসবে সরকারি বাসেই৷ বেসরকারি বাস এবং ট্রাকমালিকরা জানান, রাজ্যে বেসরকারি বাসের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার৷ ট্রাকের সংখ্যা লাখ দেড়েক৷ এই বিপুল সংখ্যক বাস এবং ট্রাক কতদিনে যন্ত্র লাগিয়ে উঠবে তা নিয়ে সংশয়ে তাঁরাই৷ তবে দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, দ্রূত এই কাজ করা হবে৷ বাস প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে কথার পরই শুরু হবে কাজ৷
মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়ে(মরথ) রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০১৪ সালে পথদুর্ঘটনার নিরিখে এ রাজ্য প্রথম ১৩টি রাজ্যের মধ্যে উপরের সারিতে রয়েছে৷ ক্রাইম রেকর্ডও বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কাতেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে৷ সেই দুর্ঘটনা কমাতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সমস্ত রাজ্যে গাড়িতে স্পিড গভর্নরস বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়৷
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, গাড়িতে স্পিড গভর্নরস বসানোর জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করা হয়েছে৷ সেই কমিটিতে অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার সংস্থার প্রতিনিধি, বাস ও ট্রাক সংগঠনের নেতা এবং পরিবহণ দফতরের কর্তারা রয়েছেন৷ সেই কমিটিই ৬০ দিনের মধ্যে প্রথমে সরকারি নিগমের বাসে এই যন্ত্র বসানোর সুপারিশ করেছে৷” পরিবহণ দফতরের তরফে সেই নির্দেশই সবকটি পরিবহণ নিগমকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে শীঘ্রই৷ বাস-মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যখন মানতে তো হবেই৷ সরকার এবিষয়ে কমিটিও তৈরি করেছে৷ আমরা যে সংস্থা থেকে বাস কিনেছি, তার তালিকা পরিবহণ দফতরকে পাঠাব৷ কবে বসাতে হবে তা তো দফতরের কর্তারাই ঠিক করবে৷ তবে শুনেছি প্রথমে সরকারি বাসে এই যন্ত্র বসবে৷”

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ