Advertisement
Advertisement

‘কী কথা মন্থরার মুখে!’ সিঙ্গুর ইস্যুতে বিরোধীদের কটাক্ষ কৃষিমন্ত্রীর

বিধানসভায় জমি ফেরত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেন৷

Govt slams opposition on Singur
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:November 19, 2018 5:36 pm
  • Updated:November 19, 2018 5:36 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ‘কী কথা মন্থরার মুখে!’ সিঙ্গুর ইস্যুতে বিধানসভায় বিরোধীদের কটাক্ষ করলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সিঙ্গুরে জমি ফেরত নিয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে? সোমবার অধিবেশনে তা জানতে চেয়েছিলেন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন৷ কৃষিমন্ত্রীর জবাব, ‘মনে রাখা উচিত, কৃষকদের সরিয়ে সিঙ্গুরের মাটিকে লাল করে দিয়েছিলেন আপনারাই৷ অনিচ্ছুক কৃষকদের আজও সাহায্য করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷’ এদিন লালগড়ে শবরদের মৃত্যুর ঘটনায় বিধানসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিরোধী দলের বিধায়করা৷  আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ মঙ্গলবার আলোচনা হতে পারে বলে খবর৷

[ চলতি মাসে আরও কমবে আলুর দাম, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের]

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বিরোধী দলের নেত্রী৷ সিঙ্গুরে কৃষিজমি অধিগ্রহণ নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি৷ অনিচ্ছুক কৃষকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই৷ শুধু নেতৃত্ব দেওয়াই নয়, অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরতের দাবিতে সিঙ্গুরে টানা ২৬ দিন অনশনও করেছিলেন তিনি৷ রাজ্যে পালাবদলের পর, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরতের সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রথমে অর্ডিন্যান্স, তারপর আইন তৈরি করে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি৷ আইনি পথেই সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দিয়েছিল সরকার৷ কিন্তু রাজ্যের আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করে টাটারা৷ কারণ, সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর ন্যানো গাড়ির কারখানা তৈরির জন্য ৯৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল পূর্বতন বাম সরকার৷ লিজে জমি হস্তান্তরও হয়ে গিয়েছিল৷ টাটাদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷

Advertisement

২০১৬ সালের ৩১ অগাস্ট৷ এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গোপাল গৌড়া ও বিচারপতি অরুণ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২০০৬ সালে বাম আমলে টাটাদের কারখানার জন্য সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ অবৈধ৷ ১২ সপ্তাহের মধ্যে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দিতে হবে৷ তবে যাঁরা জমির বদলে সরকারি ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন, তাঁদের আর টাকা ফেরত দিতে হবে না৷ সিঙ্গুর মামলার রায় ঘোষণার পর দু’বছর কেটে গিয়েছে৷ সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার জন্য কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার? সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্ন তোলেন বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেন৷ অধিবেশনে তখন উপস্থিত ছিলেন খোদ কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন তিনি৷

[ঘরে ঢুকে সমকামী ভাড়াটিয়াকে বেধড়ক মার বাড়ির মালিকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ