কৃষ্ণকুমার দাস: ”বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ড এর আগে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েছেন। কেউ কাউকে বিশ্বাস করেন না। পাহাড়ের মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এদের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সাধারণ নাগরিকদের আর কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু এরা এখন এক হয়ে আমাকে শেষ করতে চাইছে। তবে পাহাড়ের মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে আমার সঙ্গে আছে। তাই জিটিএ-র (GTA) দায়িত্ব নিয়ে আমি শুধু উন্নয়নই করে যাব।” বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা (Anit Thapa)।
স্বভাবতই উঠল গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) প্রসঙ্গ। তাতে তাঁর দাবি, ”গোর্খাল্যান্ড বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। সেটা তারাই বুঝবে। আমি রাজ্য সরকারের আইনে তৈরি জিটিএ-তে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। তাই মানুষের রায়কে মর্যাদা দিয়ে জিটিএ-কে নিয়েই উন্নয়নের কাজ করতে চাই।”
পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে অনীত থাপা বলেন, ”১৯৮৬ সাল থেকে পাহাড়ের একটা বড় অংশের মানুষকে পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার বাইরে রাখা হয়েছে। মানুষ আর আন্দোলনের নামে অশান্তি চায় না। তারা শান্তি ও নির্বাচন চায়। খুব শিগগিরই এই এলাকাতেও পঞ্চায়েত ভোট করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করেছি।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে পাহাড় নিয়ে বৈঠকে অনীত থাপা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পাহাড়ের বিষয়টি অরূপই দেখভাল করেন।
এদিন পার্বত্য এলাকায় শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অনীত থাপা। প্রস্তাব দেন, পাহাড়ের মানুষের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনে (SSC) বিশেষ সুবিধা চালু করতে। কারণ, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেও কালিম্পংয়ের উত্তীর্ণ প্রার্থীরা পুরুলিয়া বা মেদিনীপুরে পোস্টিং পাচ্ছেন। বিষয়টি যাতে মানবিক হয়, এবং পাহাড়ের মানুষ পাহাড়েই পোস্টিং পান, তা দেখার জন্য আইনি সংশোধন করার অনুরোধও করেন জিটিএ-র এক্সিকিউটিভ। সূত্রের খবর, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.