Advertisement
Advertisement

Breaking News

blackmail

মোবাইল হ্যাক করে অশ্লীল ছবি বানিয়ে মহিলাদের হুমকি! দেশজুড়ে কোটি টাকা হাতাচ্ছে জালিয়াতরা

জালিয়াতির টাকা অনলাইনে হংকংয়ে পাঠিয়ে ক্রিপটোকারেন্সিতে পরিবর্তন করা হচ্ছে।

hackers hacking mobiles of girls and earning money by blackmailing them | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 3, 2022 9:29 pm
  • Updated:July 3, 2022 9:29 pm

অর্ণব আইচ: মোবাইলে ব্যাংকের লেনদেন না করলেও জালিয়াতদের হাত থেকে রেহাই নেই। বিশেষ করে মহিলাদের। মহিলারা লিংক ক্লিক করলেই তাঁর মোবাইলের দখল নিয়ে অশ্লীল ছবি তৈরি করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে আদায় করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা! কলকাতার একাধিক মহিলাকেও হুমকি দিয়ে ‘তোলাবাজি’র টাকা আদায় করেছে জালিয়াতরা। ওই জালিয়াতির টাকা অনলাইনে হংকংয়ে পাঠিয়ে ক্রিপটোকারেন্সিতে পরিবর্তন করা হচ্ছে।

সারা দেশ, তথা বিশ্বজুড়ে ছড়ানো রয়েছে এই জালিয়াতদের নেটওয়ার্ক। প্রথমে তামিলনাড়ুর মাদুরাই থেকে রাজ নামে এক জালিয়াতির অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে লালবাজারের সাইবার থানার পুলিশ। মাদুরাইয়ের জাল সিমকার্ডের কারবারী রাজকে জেরা করে মুম্বইয়ে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মুম্বই থেকে সেলিম মহম্মদ খান নামে এই জালিয়াতি চক্রের এক মাথাকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রাজ ও সেলিমকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কলকাতায় আসছেন মিঠুনদা, যাবেন বিজেপি পার্টি অফিসেও’, দাবি সুকান্ত মজুমদারের]

পুলিশ জানিয়েছে, শহরের বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করে জানান, সুলভে মোটা টাকা ঋণ দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জালিয়াতরা। হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp) তাঁর মোবাইলে একটি লিংক পাঠানো হয়। সেই লিংকে ক্লিক করামাত্রই মহিলার অজান্তে তাঁর মোবাইলের দখল নিয়ে নেয় জালিয়াত। মহিলা মোবাইলে ব্যাংকের টাকা লেনদেন করেন না। কিন্তু মোবাইলের দখল হাতে থাকার সুবাদে জালিয়াতরা গ্যালারি থেকে তাঁর ছবি সংগ্রহ করে। ‘মর্ফ করে তাঁর মুখ বসিয়ে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে ওই মহিলাকে পাঠায় জালিয়াতরা। ওই ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার হুমকি দেওয়া হয়।

Advertisement

ক্রমাগত হুমকির জেরে মহিলা বাধ্য হয়ে একটি ই-ওয়ালেটে টাকা পাঠান। এভাবে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লালবাজারের সাইবার থানায় মহিলা অভিযোগ করার পর যে সিমকার্ড থেকে হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়, সেগুলির মাধ্যমে শুরু হয় তদন্ত। জানা যায়, সিমকার্ডগুলি তামিলনাড়ুর। কিন্তু সেগুলি জাল বলেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। সেগুলি যে মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলির সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। মোবাইলের আইএমইআই (IMEI) নম্বর থেকেই শনাক্ত করা হয় তামিলনাড়ুর ওই বাসিন্দাকে। সাইবার থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে মুম্বই থেকে ধরা পড়ে সেলিম। ধৃতরা স্বীকার করেছে যে, জালিয়াতির টাকা কোনও ব্যাংক অ্যাাকউন্টে না রেখে ক্রিপটোকারেন্সিতে পরিবর্তন করত। তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল হংকংয়ের একটি সংস্থার। ক্রিপটোকারেন্সির কারণে জালিয়াতদের ধরাও যেত না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই চক্রের সদস্যদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: স্টিলের খাটে ঘুমই কাল! রাতে বজ্রপাতের সময় পাথরপ্রতিমায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দম্পতির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ