Advertisement
Advertisement
summer vacation

ফিরল রেওয়াজ, হাতের লেখা শোধরাতে গ্রীষ্মের ছুটিতে থাকছে পাতা ভর্তি ‘হোমটাস্ক’

লেখায় অনভ্যস্ত পড়ুয়াদের 'শায়েস্তা' করতে নতুন দাওয়াই।

Hand Writing Practice is must in this summer vacation | Sangbad Pratidin
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 22, 2023 8:20 pm
  • Updated:May 22, 2023 8:20 pm

স্টাফ রিপোর্টার : এক সময় রীতিমতো রেওয়াজ ছিল। গরমের লম্বা ছুটির পর স্কুল খুলতেই শ্রেণিশিক্ষকের টেবিলে জমা পড়ত ছাত্রছাত্রীদের হাতের লেখার খাতা। তাতে ১৫ পাতা বাংলা ও ১৫ পাতা ইংরেজি মিলিয়ে মোট ৩০ পাতা লেখা থাকতেই হত। না থাকলে কী হত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সময়ের সঙ্গে অন্যান্য অনেক কিছুর মতোই হারিয়েছে হাতের লেখার ‘হোমটাস্ক’-এর রেওয়াজ। 

কিন্তু, কোভিড অতিমারীতে বিগড়েছে হাতের লেখা। সুন্দর, ঝরঝরে লেখা তো দূরস্থান। লেখায় অনভ্যস্ত হয়ে পড়া পড়ুয়াদের হাতের লেখা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে জিলিপির প্যাঁচকে। কার্যত দুর্বোধ্য সেই লেখার গতিও কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের হাতের লেখা শোধরাতে উদ্যোগী হয়েছে শহর কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। অস্ত্র সেই গরমের ছুটিতে হাতের লেখার হোমটাস্ক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নির্দেশ সত্ত্বেও সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠানো হল না কেন? উপাচার্যদের ফের চিঠি রাজভবনের]

পরিকল্পনাটা যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্যের মস্তিস্কপ্রসূত। তাঁর নির্দেশে স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির সব পড়ুয়াকে একটি লাইন টানা খাতায় মোট ৩০ পাতা হাতের লেখা লিখতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ পাতা বাংলা এবং ১৫ পাতা ইংরেজি লিখতে হবে। গরমের ছুটির শেষে শ্রেণিশিক্ষকদের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হবে সেই হাতের লেখার খাতা। যা প্রধান শিক্ষক নিজে খতিয়ে দেখবেন।

Advertisement

পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ”অতিমারীর জেরে প্রায় আড়াই বছর পর স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হলে দেখা যায়, বাচ্চাগুলোর হাতের লেখা ভয়ঙ্করভাবে খারাপ হয়ে গিয়েছে। জিলিপির প্যাঁচ হয়ে গিয়েছে। আবার মুখে পড়া বলতে পারলেও লিখতে পারছে না। শিক্ষকরাও আমায় বলেছেন, ক্লাসে মুখে কিছু বললে বাচ্চারা সেটা খাতায় লিখতে পারছে না। তা দেখেই এটা আমার সামান্য চেষ্টা ওদের হাতের লেখা সুন্দর করার। আগের দিনে গরমের ছুটি মানেই হাতের লেখার টাস্ক থাকত। সেটাই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।”

[আরও পড়ুন: ১০ কোটিরও বেশি পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র, উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী]

যদিও আগেকার দিনে আজ করব, কাল করব ভেবেই কেটে যেত গরমের ছুটির অধিকাংশ দিন। হাতের লেখার কথা মনে পড়ত লম্বা গরমের ছুটি শেষ হওয়ার দিন কয়েক আগে। তারপর ছুটির শেষ কয়েকটা দিন হাত চালিয়েই কাটত পড়ুয়াদের। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারাও যে সেই পথেই যে হাঁটবে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই মুখে একচিলতে হাসি নিয়ে স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণা করা ব্যক্তিদের। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়াদের হাতের লেখার পাশাপাশি মাটিতে বা টবে পাঁচটি করে গাছ লাগিয়ে সেগুলির পরিচর্যা করতে বলা হয়েছে। গাছ লাগানো এবং গরমের ছুটি শেষে সেই গাছগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তার ছবি তুলে সেগুলি হাতের লেখার খাতার একটি পাতায় লাগিয়ে জমা করতে বলা হয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ