Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rasika Jain

রসিকা জৈন রহস্যমৃত্যুতেও তদন্তভার দময়ন্তী সেনের কাঁধে, গঠিত ৭ সদস্যের টিম

২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় শিল্পপতি পরিবারের বধূ রসিকার।

High court form SIT under IPS Damayani Sen on Rasika Jain death case | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 14, 2022 8:19 pm
  • Updated:June 14, 2022 8:19 pm

গোবিন্দ রায়: আলিপুরে ব্যবসায়ী পরিবারের বধূ রসিকা জৈনের রহস্যমৃত্যুর তদন্তভার পেলেন আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen)। তাঁর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের সিট (SIT)গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি শম্পা সরকার। ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিয়ের এক বছর সাত দিনের মধ্যেই গতবছর ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ির নিচ থেকে উদ্ধার হয় শিল্পপতি কুশল আগরওয়ালের স্ত্রী রসিকা জৈনের দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বধূ। তবে মৃত রসিকার মা ও বাবার অভিযোগের আঙুল তাঁর জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। রসিকার বাবা রাজা সন্তোষ রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মহেন্দ্রকুমার জৈন জানিয়েছিলেন, মেয়ে রসিকার সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল কুশলের। কিন্তু সংসার সুখের হয়নি। জৈন পরিবারের অভিযোগ, বিভিন্ন ধরনের নেশা করতেন কুশল। তাতে আপত্তি ছিল রসিকার। তাঁর উপর অত্যাচার চালাতেন জামাই। গত নভেম্বরে অশান্তি মিটমাট করার জন্য রসিকার মা, বাবা ও অন্যরা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। কিন্তু আগরওয়াল পরিবার তাঁদের ফিরিয়ে দেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘৭ মাসে কিছুই হল না’, CBI তদন্তের গতি নিয়ে হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়]

High court form SIT under IPS Damayani Sen on Rasika Jain death case

Advertisement

অভিযোগ ছিল, এরপরও অত্যাচার থামেনি। গতবছর ১৬ ফেব্রুয়ারি রসিকা তাঁর মা সঙ্গীতা জৈনের মোবাইলে একটি মেসেজ পাঠান। মেয়ে যে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে পারছেন না, সেই ইঙ্গিত মেসেজে ছিল। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে ফোন করে তাঁদের বলা হয় যে, দুপুর আড়াইটে নাগাদ রসিকা ডি এল খান রোডের বাড়ির চারতলা থেকে কোনওভাবে পড়ে গিয়েছেন। বাড়ির প্রত্যেকে হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসা চলাকালীন রাত ৯টা ৩৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে রসিকার মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে জৈন পরিবার। তারপর থেকে ওই ঘটনা নিয়ে কোনও পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়েনি। তদন্ত শুরু হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন রসিকার পরিবারের লোকজন। এবার সেই ঘটনার তদন্তভার পেলেন দময়ন্তী সেন

[আরও পড়ুন: TMC’র আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে আয়কর দপ্তরের নোটিস ‘একপেশে’, খারিজ করল হাই কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ