নব্যেন্দু হাজরা: আনলক ওয়ান (Unlock 1) পর্বে চালু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি অফিস ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্র। বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের সূত্রে কলকাতায় আসতে হয় অনেককে। লোকাল ট্রেন, মেট্রো বন্ধ। পর্যাপ্ত বাস রাস্তায় নেই। সবমিলিয়ে, রোজ অফিস যাতায়াত মাথাব্যথা বাড়িয়ে তুলেছে। তবে মুশকিল আসানের উপায়ও আছে। জলপথে পরিবহণ আরও মসৃণ করতে এগিয়ে এসেছে এক বেসরকারি সংস্থা। ১ জুলাই থেকে চন্দননগর থেকে মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত চালু হচ্ছে দ্রুতগতির ভেসেল। খুব কম সময়ের মধ্যে গঙ্গার এপার-ওপার যাতায়াত করা যাবে। খরচ একটু বেশি, মাথা পিছু ৩০০ টাকার আশেপাশে।
সূত্রের খবর, সকাল ৮টায় চন্দননগর থেকে যাত্রা শুরু করবে দ্রুতগতির ভেসেল। শেওড়াফুলি, দক্ষিণেশ্বর ছুঁয়ে কলকাতার মিলেনিয়াম জেটিতে পৌঁছবে সকাল পৌনে দশটা নাগাদ। অর্থাৎ সময় লাগবে মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। যে দূরত্ব সাধারণ ভেসেলে গেলে প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লাগার কথা। এতে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় বাঁচবে। আবার বিকেল ৪টে’র সময় মিলেনিয়াম পার্ক থেকে এই ওয়াটার বাস ছাড়বে। সেটি চন্দননগরে গিয়ে পৌঁছবে ৫টা ৪৫ মিনিটে।
জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে ফেরি সার্ভিস চালু করার আগে চন্দননগর জেটির সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্ষতিয়ে দেখছেন পরিবহণ দপ্তর ও পুলিশ আধিকারিকরা। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় জেলার মানুষ শহরে যেতে যেভাবে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন, তাতে এই পরিষেবা জনপ্রিয় হতে পারে। সোম থেকে শুক্রবার ব্যস্ত অফিস টাইমে এই পরিসেবা পাওয়া যাবে। এই জলযান চালু হলে ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, হুগলি-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ সহজ হবে বলে মনে করছেন এই ওয়াটারবাস সংস্থার কর্ণধার।
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আপাতত ৬৬ শতাংশ যাত্রী নিয়েই যাত্রা শুরু করবে দ্রুতগতির জলযান। অদূর ভবিষ্যতে রাজ্য পরিবহণ নিগমের সহায়তায় বারাকপুর থেকে মিলেনিয়াম ঘাট পর্যন্ত দ্রুতগতির জল পরিবহণ ব্যবস্থা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বর্তমানে কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ভেসেল পরিষেবা দিয়ে থাকে এই সংস্থাই। যা ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.