Advertisement
Advertisement

জুনে হবে উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা, নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১৭।

Higher Secondary exams to be held in June: Mamata
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 15, 2020 5:17 pm
  • Updated:April 15, 2020 7:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরই রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে স্থগিত হয়ে যায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, উচ্চ মাধ্যমিকের যে তিনটি পরীক্ষা বাকি ছিল তা হবে আগামী জুন মাসে। সেই সঙ্গে একাদশ শ্রেণির সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়ার কথাও জানালেন তিনি।

আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে, সে কথা আগেই জানানো হয়েছিল। এবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, উচ্চ মাধ্যমিক হবে জুনে। অর্থাৎ স্কুল খুললেই হয়তো পরীক্ষায় বসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। করোনার জেরে কলেজ পড়ুয়াদেরও কিছু ছাড় দেওয়া হল। স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ সমস্ত ক্ষেত্রের পড়ুয়ারা একটা করে সেমিস্টার এগিয়ে যাবেন। অর্থাৎ একটা সেমিস্টার তাদের কম দিতে হবে। ফাইনাল সেমিস্টার পরীক্ষাটি দিতে হবে। এদিকে, ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে আইসিবিএস।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগী প্রশাসন, কলকাতায় বসল ‘স্যানিটাইজার টানেল’]

বাংলায় নতুন করে আক্রান্ত ১৭ জন। বর্তমানে এ রাজ্যে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৩২। যদিও মৃতের সংখ্যা বাড়েনি। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি সাতজন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও পাঁচজন। এখন বাংলায় সংক্রমণ মুক্ত মোট ৪৭ জন। টেস্টিং হয়েছে ৩৪৭০ জনের। বর্তমানে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪১৫৭ জন। ইতিমধ্যেই ৭৭২৯ জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ৫৬০০০-এরও বেশি মানুষ। যাঁদের মধ্যে ১৯ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

Advertisement

এছাড়া মমতা জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে লকডাউনে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যেমন চা তোলার ক্ষেত্রে আগেই ২৫ শতাংশ শ্রমিকের কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার টি প্রসেসিংয়েও ২৫ শতাংশ শ্রমিককে অনুমতি দেওয়া হল। রাস্তা এবং বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনে স্থানীয় শ্রমিকরা কাজ করতে পারবেন। ১০০ দিনের শ্রমিকদের কাজ দেওয়া যেতে পারে। চট কলেও ১৫ শতাংশ শ্রমিক কাজ করতে পারবেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের তরফে নার্সারির কাজ, পুকুর পরিষ্কারের কাজ-সহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারবেন দিন আনি দিন খাই মজুররা। তবে প্রত্যেককেই মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা জানান, মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের চেহারা দেখার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করেন। বাড়ি ফেরার জন্য বান্দ্রা স্টেশনে ভিড় জমিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, তিনি ফোনে উদ্ধবকে বলেন এমন পরিস্থিতিতে তিনি মহারাষ্ট্রের পাশে আছে।  

[আরও পড়ুন: ‘লকডাউন সফল করতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ’, রাজ্যপালের টুইটে ফের সংঘাতের আঁচ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ