মলয় কুণ্ডু: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের প্রতিটিরই বিশেষ বৈশিষ্ট্য তার অন্দরের ঔদার্য, যা অন্য মানুষকেও কাছে টেনে নিতে পারে। আর ঠিক এখানেই উৎসব হয়ে ওঠে সবার। এক ধর্মের সঙ্গে আরেক ধর্মের মিলন হয় এখানেই। রঙের উৎসবও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশজুড়ে প্রায় সকল ধর্মের মানুষ শামিল হন দোল, হোলিতে। সেই উপলক্ষে এবছর মুখ্যমন্ত্রীর অনু্প্রেরণায় কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে আলিপুরের ধনধান্যে প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল দোলযাত্রা ও হোলির মিলন উৎসব।
বুধবার বিকেলে গুজরাটের গরবা, ডান্ডিয়া, পাঞ্জাবের ভাংড়ার পাশাপাশি বাংলার নাচেগানে রঙিন হয়ে উঠল সেখানকার পরিবেশ। সকলের সঙ্গে মিশে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও নাচলেন ডান্ডিয়া, ভাংড়া। তারই মাঝে আসন্ন উৎসব নিয়ে সতর্ক করে দিলেন রাজ্যবাসীকে। বললেন, ”অনেকে অনেক উসকানি দেবে, কোনও কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই। নিজেদের মতো দোল-হোলি খেলায় মেতে উঠুন, অন্তরকে রঙিন করে তুলুন।” বিভিন্ন উৎসবের সময় ধর্মীয় প্ররোচনা দেওয়া এবং অশান্তির আশঙ্কায় বরাবর রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। দোল-হোলিতেও তার ব্যতিক্রম হল না।
রঙের উৎসবের আগাম উদযাপন অনুষ্ঠানে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী ও পুরসভার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করেন। রঙের উৎসবের প্রাসঙ্গিকতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ”এবছর দোল-হোলি একই দিনে পড়েছে। আবার রমজান মাসও চলছে। একেবারে উৎসবের মরশুম। আমি আবেদন করব, সবাই একসঙ্গে থাকবেন। আপনি দোল করুন, হোলি করুন। কেউ কেউ রোজা রাখবে। মনটা রঙিন রাখুন, সব ধর্মের জন্য, সব মানুষের জন্য। এই সময়টা রঙের। উৎসবে শামিল হলে দেখবেন মনটাও রঙিন হবে, বড় হবে।” সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে তাঁর আরও বক্তব্য, “আমরা এই বাংলায় সবাই একসঙ্গে থাকি। বাংলা ভালো থাকলে দেশও ভালো থাকবে। দেশের জন্য বাংলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ঝগড়া চাই না, শান্তি চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.