সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: ফেসবুক ফ্রেন্ডের পাতা ফাঁদে পড়ে লুট হয়ে গেল সোনা-সহ নগদ কয়েক হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে কসবা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত ব্যাক্তির নাম সুকোমল দত্ত। অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফেসবুকের মাধ্যমে কসবার সুকোমল দত্তের সঙ্গে আলাপ হয এক গৃহবধূর। নাম অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। পেশায় ব্যবসায়ী সুকোমল বন্ধু হিসেবেই চ্যাট শুরু করেন অনন্যার সঙ্গে। অনন্যার প্রোফাইলে ঠিকানা দেওয়া ছিল কলকাতা। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে। ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন তাঁরা। এরই মধ্যে অনন্যা একদিন সুকোমলের বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। বন্ধুকে না করেননি সুকোমল। সাদরে অভ্যর্থনা করেন। এই সুযোগটাই নেয় অনন্যা।
[ ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড বিধায়ক অর্জুন সিং, তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁর ভাই ]
জানা গিয়েছে, সুকোমলের বাড়ি গিয়ে খাওয়াদাওয়া করে সে। খাওয়ার শেষে দু’জনে মিলে কোল্ড ড্রিংকস খায়। সুকোমলের অভিযোগ, ওই কোল্ড ড্রিংকসে কোনও একটি ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল অনন্যা। ফলে অজ্ঞান হয়ে যান সুকোমল। সেই ফাঁকে রীতিমতো ডাকাতি করে অনন্যা। আলমারি খুলে ৬০ হাজার টাকা, সোনার গয়না, দামী মোবাইল ফোন, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কেটে পড়ে সে।
ঘটনার পর কসবা থানায় অভিযোগ জানান সুকোমল দত্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সুকোমলের ফেসবুক প্রোফাইল খতিয়ে দেখেন পুলিশের সাইবার সেলের অফিসাররা। সন্ধান মেলে অনন্যার। কিন্তু তারপর যে তথ্য হাতে আসে, তাতে চক্ষু চড়কগাছ খোদ পুলিশ আধিকারিকদের। জানা যায়, ওই গৃহবধূর নাম অনন্যা চট্টোপাধ্যায় নয়। ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বসেছিল সে। তার আসল নাম পিউ বিশ্বাস। বাড়ি তার কলকাতায় নয়,পুরীতে। তথ্যের উপর ভিত্তি করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সন্ধান পাওয়া যায় পিউয়ের। এরপর পুলিশের একটি দল পাড়ি দেয় ওড়িশায়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তকে। ঘটনার তদন্ত চলছে। সুকোমল ও পিউ, দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
[ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ডিজাইনার? যাদবপুরে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ভাসল অগ্নিমিত্রার নাম ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.