Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাভলভ থেকে পলাতক নাদিয়ালের অনার কিলার

ইতিমধ্যেই মেহতাবের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়ে গিয়েছে৷

Honour killer of Nadial escaped from Pavlov
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 9, 2016 5:35 pm
  • Updated:September 9, 2016 5:35 pm

স্টাফ রিপোর্টার: পাভলভ মানসিক হাসপাতাল থেকে পালাল কলকাতায় প্রথম ‘অনার কিলিং’-এ অভিযুক্ত যুবক৷ ২০১২ সালে ডিসেম্বর মাসে ২২ বছরের বোন নিলুফার বিবিকে গলা কেটে খুন করে মেহতাব আলম মোল্লা নামে ওই যুবক৷

খুনের পর ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে নেয় সে৷ তারপর এক হাতে চুলের বেণি ধরে কাটা মুন্ডু নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে দিনের বেলা অনায়াসে হেঁটে চলে মেহতাব৷ অন্য হাতে তখনও তরবারি থেকে ঝরছিল রক্ত৷ এভাবেই সে সটান হাজির হয় থানার মধ্যে৷ ঠিক ফিল্মি কায়দায় ডিউটি অফিসারের টেবিলে বোনের কাটা মুন্ডু আর তরবারি রেখে একটি চেয়ার টেনে নিয়ে বসে মেহতাব৷ ডিউটি অফিসারের চক্ষু তখন চড়ক গাছ৷ বলে “বোনকে খতম করেছি, গ্রেফতার করুন৷”

Advertisement

নাদিয়াল থানার আয়ুবনগরের এই ঘটনায় সে সময় শিউরে ওঠেন পথচলতি মানুষজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা৷ পরে থানায় সে দাবি করে, “পরিবারের সম্মান হানি করেছে তাই গলা কেটে খুন করেছি নিজের বোনকে৷” খুনের প্রমাণ দিতে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও বোনের কাটা মুন্ডু নিয়ে থানায় এসেছিল বলেও দাবি করে সে৷ পুলিশ জানায়, মেহতাবের বোন নিলুফারের বিয়ে হয় ২০০৪ সালে৷ দু’টি সন্তানও ছিল তাঁর৷ বিয়ের পর স্বামীর থেকে অত্যাচারিত হয়ে অন্য এক যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ এতেই খেপে ওঠে মেহতাব৷

Advertisement

গ্রেফতারের পর সাজা হয় মেহতাবের৷ সাজা ঘোষণার পর থেকে সংশোধনাগারেই ছিল সে৷ কিন্তু গত মার্চে আদালতের নির্দেশে তাকে পাভলভ মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল৷ হঠাৎই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালে মেহতাবের কোনও হদিশ মিলছিল না৷ সঙ্গে সঙ্গে তপসিয়া থানাকে মৌখিকভাবে ঘটনার কথা জানায় হাসপতাল কর্তৃপক্ষ৷ তপসিয়া থানা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মেহতাবের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এহেন অপরাধে অভিযুক্ত যদি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে তাহলে তা আরও বিপজ্জনক বলে দাবি পুলিশ বিশেষজ্ঞদের৷ সে কারণেই তার হদিশ মেলা জরুরি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ