Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘আমি প্রতিবন্ধী’, সাজা থেকে বাঁচতে সহানুভূতির আশ্রয় খোঁড়া বাদশার

পুলিশ লকআপে ঢোকার সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে খোঁড়া বাদশা।

Hooch tragedy convicted Khoda Badshah appeals release
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 28, 2018 12:42 pm
  • Updated:September 28, 2018 12:42 pm

অর্ণব আইচ: শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে। মুক্তির আর পথ নেই। তাই সহানুভূতির আশ্রয় নিল সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের মূল পাণ্ডা খোঁড়া বাদশা। গতকালই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আলিপুর আদালত। আজ, শুক্রবার তার সাজা ঘোষণা। সেই অনুযায়ী এদিন তাকে এজলাসে তোলা হয়। মুক্তির উপায় নেই দেখে শেষপর্যন্ত সহানুভূতির আশ্রয় নেয় নূর ইসলাম ওরফে ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা। সাজা ঘোষণার আগে তার কিছু বলার আছে কিনা জানতে চায় আদালত। তখনই কাঠগড়ায় ভেঙে পড়ে সে। তার করুণ আর্জি, সে প্রতিবন্ধী। পায়ের নিচে কয়েক ইঞ্চি হাড় নেই। তার উপর একাধিক শারীরিক অসুস্থতায় জর্জরিত সে। ব্লাড সুগার, প্রেশার, গ্যাসট্রিক আলসারের মতো রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। তার মায়ের বয়স ১০০ পেরিয়েছে। খোঁড়া বাদশার সাজা হলে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়বেন বৃদ্ধা মা। কারণ সেই সংসারের একমাত্র রোজগার করত। এহেন অবস্থায় তাকে যাতে কম শাস্তি দেওয়া হয় তা বিবেচনা করার আর্জি জানায় সে।

[সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত মূল পাণ্ডা খোঁড়া বাদশা-সহ ৪]

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে তখন সদ্য ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ডিসেম্বরে মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ডহারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষমদ খেয়ে মারা যান ১৭২ জন। এই ঘটনা সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ড নামে পরিচিত। রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এদিকে মগরাহাট ও উস্তি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিআইডি। তদন্তে জানা যায়, যে চোলাই মদ খেয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেই চোলাই মদ বানাত কুখ্যাত দুষ্কৃতী নূর ইসলাম ওরফে ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা। সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ১৭২ জনের। তাঁদের মধ্যে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল উস্তি থানায়। অভিযুক্ত ছিল ১২ জন। দু’জন এখনও পলাতক। মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা ও তাঁর স্ত্রী-সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। চার্জশিট পেশ করা হয় ২০১২ সালে। গতকাল সেই মামলায় খোঁড়া বাদশা-সহ চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আলিপুর আদালত। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যায় ৬ জন। এদিকে মগরাহাট থানায় যে মামলাটি দায়ের হয়েছে, সেই মামলা এখন বিচারধীন।

Advertisement

[বাড়ি ফাঁকা রেখে পুজোয় ঘুরতে যাবেন না, সাবধানবাণী কলকাতা পুলিশের]

এদিন আসামির বক্তব্য শোনার পর তাকে ফের পুলিশ লকআপে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ সাজা ঘোষণা করবে আদালত। পুলিশ লকআপে ঢোকার সময় ফের কান্নায় ভেঙে পড়ে খোঁড়া বাদশা। তখনও পুলিশকর্মীদের কাছে তার অনুরোধ, প্রতিবন্ধী বলেই সাজা থেকে অব্যাহতি চাইছে সে। পরিবারের কথা ভেবে শাস্তি থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে অস্রুসজল খোঁড়া বাদশা।

[ওষুধের বাক্সে পাচারের চেষ্টা, পুজোর আগেই শহরে মিলল নিষিদ্ধ বাজি]

 

ছবি: গোপাল দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ