আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: খাটের উপরে পড়ে রয়েছে স্ত্রীর নিথর দেহ৷ আর ঘরের সিলিংয়ে ঝুলছেন গৃহকর্তা৷ বরানগরের নিরঞ্জন সেন পল্লির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শুক্রবার সকালে৷ রহস্য মৃত্যু হয়েছে দম্পতির৷ মৃত দম্পতির নাম, সুদীপ দেব (২৬) ও স্ত্রী সংগীতা দেব (২০)৷
[ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম, আরও মহার্ঘ পেট্রল-ডিজেল]
পাঁচ বছরের বিবাহিত সম্পর্ক সুদীপের বাড়ির লোক মেনে না নেওয়াতেই দু’জনে মিলে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে৷ তবে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির বাড়ি বরানগর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সংগীতা স্থানীয় নয়নপল্লিতে বড় হয়েছিলেন দিদিমার কাছে। প্রেম করে বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে৷ তিন বছরের ছেলেও রয়েছে তাঁদের। তবে, এতদিন পরেও সুদীপের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। তা নিয়ে মাঝে মাঝেই অশান্তি চলত। সুদীপ সেভাবে স্থায়ী কাজ করতেন না। বছরখানেক আগে স্থানীয় কাউন্সিলর দম্পতির পারিবারিক সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন। সেই সময়ের মতো সমস্যা মিটেও যায়।
[সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শচীনকে সাম্মানিক ডি-লিট দেবে যাদবপুর]
গতকাল রাতেই দু’জনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করা হচ্ছে। স্বামী সিলিংয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্ত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। তিন বছরের সন্তান পাশের ঘরে ঠাকুমার সঙ্গে শুয়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্বামী স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিন ভোরে দম্পতির বাড়ি থেকে তাঁদের মৃতদেহ দেখে ভিড় জমান স্থানীয় বহু মানুষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাঝে মাঝে ওই দম্পতির বাড়িতে অশান্তির খবর পাওয়া যেত৷
[সেতু ভেঙে পাসপোর্ট ‘মাটির তলা’য়, স্বপ্নভঙ্গ বিদেশযাত্রার]