Advertisement
Advertisement

ভাগাড়ের মাংস কীভাবে পৌঁছাত রেস্তরাঁয়? সন্ধানে মরিয়া পুলিশ

৫ লিংকম্যানের সন্ধান পেল পুলিশ।

how to reach the meat in restaurant which department store sells police in desperate search
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 29, 2018 3:04 pm
  • Updated:April 29, 2018 3:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগাড় কাণ্ডের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ প্রকাশ্যে আসার পর এবার পাঁচ লিংকম্যানের সন্ধান পেল পুলিশ৷ পুলিশ জানতে পেরেছে এই পাঁচ লিংকম্যানের মাধ্যমে শহরের ভিন্ন নামী রেস্তরাঁ ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পৌঁছে যেত ভাগাড়ের পচা মাংস৷ পচন ধরা মাংসে রাসায়নিক মিশিয়ে প্যাকেট বন্দির হওয়ার পর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলিতে চলত দেদার বিক্রি৷ রেস্তরাঁর প্লেটেও পৌঁছে যেত ভাগাড় থেকে আনা মাংস৷

[ভাগাড় কাণ্ডে আতঙ্কে বাঙালি, রবিবারের পাতেও মাংসে টান]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাগাড় কাণ্ডের তদন্তে নেমে ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছ পাঁচ লিংকম্যানের কথা৷ ভাগাড় থেকে তুলে আনা মাংস কীভাবে হিমঘরে পৌঁছে যেত, সেখান থেকে কীভাবে রাসায়নিক মিশিয়ে বিক্রির উপযোগী করে তোলা হত, কোন পথে এবং কোন কোন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, হোটেল-রেস্তরাঁয় কীভাবে পৌঁছবে ভাগাড়ের মাংস তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ৷ এই কাজে লিংকম্যানদের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত, এর পেছনে কোনও চক্র কাজ কাজ করছে কি না তা জানতে শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু শহরের হোটেলগুলিতে নয়, ভাগাড়ের পচা মাংস পাচার হত বিদেশেও। প্রক্রিয়াকরণের পর প্যাকেটজাত মাংস চলে যেত বাংলাদেশ ও নেপালেও। পুরো কারবারে লিংকম্যানের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ৷ তদন্তে গঠিত হবে সিট।

Advertisement
[পচা মাংস কাণ্ডে গ্রেপ্তার নিউটাউনের ঢালি চিকেন ফার্মের মালিক, দেখুন ভিডিও]

দিনকয়েক আগেই এই ভাগাড় কাণ্ডের পর্দাফাঁস হয়। প্রথমে জানা গিয়েছিল বজবজের একটি ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস পাচার হত শহরের হোটেলগুলিতে। সস্তার খাবারে যে মাংস দেওয়া হত তা আসত ভাগাড় থেকেই। মরা পশুর মাংস পাচারের সঙ্গে যুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই চক্রের মূল পান্ডা সানির হদিশ মেলে। বৃহস্পতিবারই বিহারের নওদা থেকে গ্রেপ্তার করা সানিকে। তবে শুধু বজবজ নয়, ভাগাড় কাণ্ড ছড়িয়েছে আরও বিস্তীর্ণ এলাকায়। ট্যাংরা, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় পুলিশ। খোঁজ মেলে হিন্দুস্তান কোল্ড স্টোরের। হিমঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে জমা রাখা হত টন টন মাংস। প্রথমে মরা মশুর মাংসকে বিভিন্ন রাসায়নিকের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ করা হত। পরে তা প্যাকেটজাত করে রাখা হত হিমঘরেই। দেখে মনে হত একেবারে আসল টাটকা মাংসের মতোই। এই মাংসই চালান হত সস্তার হোটেলে। তবে শুধু তাই নয়, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, চক্র ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও।

Advertisement
[হস্টেল-ক্যান্টিনে কোথা থেকে আসছে মাংস, যাচাইয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ]

জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ও নেপালেও পাচার হত পচা মাংস। প্যাকেটজাত মাংসই ছড়িয়ে দেওয়া হত ওই দুটি দেশে। টাটকা মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হত এই ভাগাড়ের পচা মাংস। পুরো ব্যবসায় মধ্যস্থতা করত বেশ কয়েকজন। সানিকে জেরা করেই এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেই আন্তর্জাতিক লিংম্যানদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা ছাড়াও এই চক্রে আরও বড় মাথারা যুক্ত। তাদেরই খোঁজে হন্যে পুলিশ। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। খোঁজ চলছে লিংকম্যানদেরও৷

[চিকেন আতঙ্কে দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রীরা, চিন্তিত আইআরসিটিসি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ