সুব্রত বিশ্বাস: বর্ধমান স্টেশনের মূল ভবনের একাংশ ভেঙে মৃত্যুর ঘটনার পর উদ্বিগ্ন যাত্রীদের বার্তা দিল রেল। কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, যাত্রীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। হাওড়া স্টেশন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে জানান, বর্ধমান স্টেশনের পরিকাঠামো ইটের উপর তৈরি। কিন্তু হাওড়া স্টেশনটির গোটা পরিকাঠামো লোহার তৈরি। ফলে তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা নেই। বর্ধমান স্টেশনের একাংশ ভেঙে পড়ার হাওড়া-সহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনের ভবনগুলির স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।
বর্ধমান স্টেশনে হাওড়া-দিল্লি রুটের পুরনো স্টেশন ১৮৫১ সালে তৈরি। হাওড়া-হুগলি রুটে ট্রেন পরিষেবা শুরু হয় ১৮৫৮ সাল থেকে। বালি ও শ্রীরামপুরে প্রথম ও দ্বিতীয় হল্ট নির্মাণ হয়। ওই রুটের স্টেশন ভবনগুলি বহু পুরনো। তবে সেগুলি কতটা সুরক্ষিত তা এখনও স্পষ্ট করে বলেনি রেল। ডিআরএম ঈশাক খান বলেনম “স্টেশনগুলির ভিসুয়াল পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা রিপোর্ট দিলে সেইমতো ব্যবস্থা করা হবে।” সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত রেলের একটি কমিটি বর্ধমান স্টেশন ভবনের কাজ খতিয়ে দেখে। পরিকাঠামো উপযুক্ত না হলে তা ভেঙে ফেলা হবে বলেও জানান ইশাক খান।
হাওড়া-হুগলির মাঝে পনেরোটি স্টেশন অতি প্রাচীন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বেলুড় স্টেশনটি ভেঙে তা প্রসিদ্ধ বেলুড় মঠের আদলে তৈরি করা হয়ছে। তবে অন্যান্য স্টেশনগুলির সেই অর্থে সংস্কার হয়নি। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় বর্ধমান স্টেশনে উপস্থিত যাত্রীরা। তাঁদের চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বর্ধমান স্টেশনের বারান্দার একাংশ। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় ১ জনের। আহত হন আরও এক।