দিশা আলম, বিধাননগর: নিউটাউনে নাবালিকা খুন ও ধর্ষণের কাণ্ডে জড়িত অপরাধী ই-রিকশা চালককে ধরতে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শহরের ই-রিকশা ও টোটো চালকদের জন্য নতুন ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে চলেছে বিধাননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগ। নিউটাউনে ই-রিকশা ও টোটোর লাগাম টানতে এবার চালকদের সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরি করবে পুলিশ।
কমিশনারেট ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, চালকদের নাম ও রঙিন ছবি ব্যবহারে তৈরি হবে ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ (সিসিপি)৷ পুলিশের পাশাপাশি চালকদের সেই পরিচয়পত্রের একটি প্রতিলিপি রাজ্য পরিবহণ দপ্তরেও জমা থাকবে। আর একটি প্রতিলিপি প্রিন্ট টোটো বা ই-রিকশার গায়ে সাঁটিয়েও দেওয়া হবে। তবে ব্যতিক্রমও থাকছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও চালকের পূর্বের অপরাধমূলক মামলায় নাম জড়ালে, তাঁকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ওই চালকের শহরের রুটে গাড়ি চালানোর অনুমতি বাতিল করা হবে।
পুলিশের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ই-রিকশা ও টোটো মিলিয়ে বর্তমানে শহরের বুকে কমবেশি এক থেকে দেড় হাজার চালক রয়েছে। স্ট্যান্ডের সংখ্যা প্রায় ২০। কমিশনারেট পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “নিউটাউন শহরের পাশাপাশি কমিশনারেটের প্রতিটি থানা এলাকা ধরে ধরে রিকশা চালকদের যাচাই প্রক্রিয়ার চলবে। সেই বাছাই পর্বের পর, চালকেরা পরিচয়পত্র পাওয়ার ছাড়পত্র পাবে না।” পুলিশ মনে করছে, চালকদের পরিচয় থানায় জমা থাকলে দুর্ঘটনা-সহ নানা অপরাধের দ্রুত কিনারা করা সম্ভব হবে। নয়া এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে এই মুহুর্তে কমিশনারেট পুলিশ অন্দরে জোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
সচিত্র পরিচয়পত্রের বিষয়টি জানাজানি হতেই খুশি শহরের রিকশা চালকরাও। নিউটাউনের তথ্যপ্রযুক্তি তালুক ইকোস্পেস৷ জনবহুল ইকোস্পের-কালুরমোড় রুটের এক টোটো চালক জাহাঙ্গির মোল্লা বলেন, “একজন চালকের ধর্ষণের অপরাধের সব টোটো চালকের দুর্নাম ঠিক নয়। পুলিশের সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরির ভাবনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।” অন্যদিকে, কিশোরী খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে মঙ্গলবার বিকেলে লোহাপুলের ঘটনাস্থল জঙ্গল থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে ফরেন্সিকের এক প্রতিনিধি দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.