Advertisement
Advertisement

Breaking News

কর্তার গানেই ‘উড়তা’ কলকাতা রুখতে চায় পুলিশ

“চল ড্রাগকে হারাই, চল ঘুরে তো দাঁড়াই, চল নেশাকে হারাই, করি বাঁচার লড়াই৷”

Initiative of Kolkata Police to Spread awarness against Drug
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 26, 2016 9:39 am
  • Updated:June 26, 2016 9:47 am

অর্ণব আইচ: গান দিয়ে মাদককে জয় করা৷ তা-ও সম্ভব৷

মাদক পাচারকারীদের গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার করে মাদকের প্রকোপ শহরে কিছুটা কমানো যায়৷ কিন্তু যাদের রক্তে ইতিমধ্যেই মাদক ঢুকে গিয়েছে, অথবা যে তরুণ বা তরুণী আগ্রহের সঙ্গে দু’-একবার মাদকের বিষ নিজের শরীরে নিয়েছে, তাদের উপর যাতে মাদক আর প্রভাব ফেলতে না পারে, তার জন্য প্রয়োজন অন্য ধরনের সচেতনতা৷ আর লালবাজারের কর্তাদের মতে, এই সচেতনতার বড় অঙ্গ হচ্ছে ‘মিউজিক’ বা গান৷  মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষে তৈরি ‘থিম সং’ শোনা যাবে এদিন থেকেই৷

Advertisement

“চল ড্রাগকে হারাই, চল ঘুরে তো দাঁড়াই, চল নেশাকে হারাই, করি বাঁচার লড়াই৷” লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, নেশাকে যুবসমাজের থেকে দূরে ঠেলতেই এই ‘থিম সং’ তৈরির সিান্ত নেওয়া হয়৷ গানটি লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় লালবাজারেরই এক পদস্থ কর্তাকে৷ এই বিষয়ে ডিসি (ডিডি) স্পেশাল জয় বিশ্বাস জানান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার এবার মাদক বিরোধী দিবসের ‘থিম সং’টি লিখেছেন৷ গানটির সুরকার দ্রোণ৷ গানটি গেয়েছেন সপ্তক ভট্টাচার্য৷

Advertisement

এর আগেও ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকাকালীন পুলিশকর্তা সুপ্রতিম সরকার ট্রাফিক সপ্তাহের ‘থিম সং’ লিখেছেন৷ লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, গানটি বেশ দ্রূত লয়ের৷ লালবাজারের এক কর্তা জানান, এই ধরনের গান বারবার বিভিন্ন জায়গায় শোনানো হবে৷ যে তরুণ বা তরুণীরা ইতিমধ্যে যে কোনও কারণেই হোক মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন, অথবা যাঁরা সবেমাত্র মাদক নিতে শুরু করেছেন, তাঁরা যদি এই গান শুনে মাদকের রাস্তা ছেড়ে সুস্হ জীবনে ফিরে আসেন, সেটাই কাম্য৷ গানটির কথা, সুর ও গায়কি সাধারণ মানুষেরও ভাল লাগবে বলে দাবি লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তাদের৷

ইতিমধ্যেই দুই ধরনের মাদক বিরোধী  হোর্ডিংয়ে ঢেকেছে শহর৷ শহরের নতুন প্রজন্ম যাতে মাদক থেকে দূরে থাকে, তা ছন্দের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে এই হোর্ডিংয়ে৷ মাদকাসক্তদের জন্য বড়তলা, এণ্টালি, বন্দর ও কালীঘাটে খোলা হয়েছে  চিকিৎসা কেন্দ্র৷ গোয়েন্দাকর্তাদের মতে, শুধু হেরোইন বা ব্রাউন সুগার নয়, গাঁজা, চরসের মতো মাদকও যাতে শহরে ছড়িয়ে না পড়তে পারে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ শুরু হয়েছে তল্লাশি৷ এ ছাড়াও কলকাতায় কোকেন ধরতেও তল্লাশি চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ৷ কিছু জায়গায় বালক ও কিশোররাও একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের আঠা শুঁকে নেশা করে৷ ওই ধরনের নেশা বন্ধ করার বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ এদিকে, দিল্লি থেকে পাচার হওয়া চার হাজার বোতল বেআইনি কাশির ওষুধ উদ্ধার করেছে আরপিএফ৷ চিৎপুরে কলকাতা স্টেশন থেকে এই কাশির ওষুধ উার করা হয়৷ এই ওষুধের পাচারকারীদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা নারকোটিক কণ্ট্রোল ব্যুরো৷

 

শুনে নিন সে গান-

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ