সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ফুঁসছে গোটা রাজ্য। রবিবার সকাল থেকে ফের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। রাজ্য সড়ক-জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ। মু্খ্যমন্ত্রীর তরফে বারবার আবেদন সত্ত্বেও ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। তাই হিংসা রুখতে এবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। মালদহ, মুর্শিদাবাদ-সহ মোট ৬টি জেলায় বন্ধ করা হচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা, বিবৃতি দিয়ে জানাল রাজ্য সরকার।
লোকসভা, রাজ্যসভার পরীক্ষা পেরিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে (CAB) রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করে দেওয়ার পরই তা আইনে পরিণত হয়েছে। তারপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন (CAA) বিরোধী প্রতিবাদ। কোথাও পথ অবরোধ, কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও আবার রেললাইন অবরোধ করে লাগাতার চলতে থাকে প্রতিবাদ। একের পর এক জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন-বাস। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পরিষেবা। কার্যত ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজ্য জুড়ে।
[আরও পড়ুন: ছেলের নথি নেই, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পর দুশ্চিন্তায় আত্মঘাতী মা]
অশান্তির আগুন ধীরে ধীরে জ্বলতে শুরু করার পর থেকেই বারবার সকলকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলনের কথা বলেছিলেন তিনি। একই বার্তা দিয়েছিল বিভিন্ন মহল। কিন্তু সেই আবেদন ফলপ্রসূ হয়নি। ক্রমাগত জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে হিংসাত্মক ছবি। বাধ্য হয়েই ৪টি জেলায় সম্পূর্ণ ও দুটি জেলায় আংশিকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “বারবার নিষেধ সত্ত্বেও বহিরাগতদের উসকানিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চলছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উসকানিতে হিংসার চক্রান্ত চলছে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ও বারুইপুর মহকুমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা।” এই পথে হেঁটে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।