Advertisement
Advertisement

ভাতে মারল রেল, হাওড়া স্টেশনের ভেন্ডিং স্টলে বন্ধ খাবারের জোগান

রেলের তুঘলকি নিয়মে বিপাকে ভেন্ডররা।

IRCTC stops supply to ‘illegal stalls’ at Howrah station
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 8, 2018 8:45 pm
  • Updated:February 8, 2018 8:45 pm

সুব্রত বিশ্বাস: হাতে নয়। এবার হাওড়া স্টেশনের ভেন্ডরদের ভাতে মারার সিদ্ধান্ত নিল রেল। আগেই ৯২টি ভেন্ডিং স্টলের মধ্যে ৬২টি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এবার বাকি ৩০টি স্টলের বিক্রয়জাত খাবারের জোগান বন্ধ করল আইআরসিটিসি। ভেন্ডরদের অভিযোগ, রেলের এই তুঘলকি কাণ্ড সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ। এদিকে খাবার বন্ধ কর দেওয়ায় রেলযাত্রীদেরও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। খাবার কিনতে এসে ভেন্ডিং স্টলের সামনে থেকে খালি হাতেই ফিরছেন যাত্রীরা।

[আয়ুর্বেদে সাফল্য, পঙ্গুত্ব থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরল ২ কিশোর]

উল্লেখ্য, স্টেশন থেকে ভেন্ডিং স্টল তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন ওই ৩০টি স্টলের ভেন্ডররা। এ নিয়ে তাঁরা আদালতেও যান। সেকারণে ৬২টি স্টল ভাঙলেও ৩০টি স্টলে আঁচড় কাটতে পারেনি রেল। কেন না ২৯ মার্চ পর্যন্ত উল্লেখিত স্টলগুলি ভাঙায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই পদক্ষেপ নিয়েও তাতে অগ্রসর হতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ। উপায়ন্তর না দেখে ৩০টি ভেন্ডিং স্টলে খাবারের জোগানই বন্ধ করে দেওয়া হল।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে আইআরসিটিসির জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশাবলী তাঁরা এখনও পাননি। নির্দেশ মিললে ফের খাবারের জোগান শুরু হবে। এদিকে স্টল থেকেও খাবার বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ভেন্ডররা। বাইরে থেকে খাবার এনে বিক্রি করার নির্দেশও তাঁদের কাছে নেই।

Advertisement

[বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জের, সম্ভাবনা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির]

ভেন্ডরদের অভিযোগ, যে ৬২টি স্টল ভাঙা পড়ছে, তাতে প্রচুর খাবারদাবার ছিল। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ৮০ লক্ষ টাকা। ভেন্ডররা স্টলে খাবার বিক্রি করলেও, জোগানদার আইআরসিটিসি। খাবার বিক্রি হলে ভেন্ডরদের থেকে নির্দিষ্ট কমিশন পেত আইআরসিটিসি। পুরো টাকাটাই ভেন্ডরদের থেকে দাবি করেছে আইআরসিটিসি। স্টল ভাঙতে গিয়ে খাবারের ট্রলিও তুলে নিয়ে গিয়েছে রেলের কর্মীরা। সেই ট্রলি ফেরতের দাবি জানিয়েছেন ভেন্ডররা। কেননা ট্রলিগুলি পয়সা খরচ করে ভেন্ডররাই তৈরি করিয়েছিলেন। এক একটি ট্রলি তৈরিতে খরচ পড়েছিল ৮০ টাকার মতো। তাও অনেকদিন হয়েছে। ট্রলিগুলি থাকলে স্টেশনের ভিতরে ঘুরে ঘুরে খাবার বিক্রির কাজটি চালু রাখতে পারতেন তাঁরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে রেলের কোনও পরিকল্পনার কথা জানা যায়নি।

[ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, সিঁথিতে পুড়ে ছাই গ্যারাজ]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ