Advertisement
Advertisement
IS

IS জঙ্গিদের জেরায় হদিশ, কলকাতা পুলিশের অভিযানে মধ্যপ্রদেশে গ্রেপ্তার মডিউলের মাথা

হাওড়া থেকে ধৃত সাদ্দাম ও সইদকে জেরা করে এই জঙ্গির হদিশ মিলেছিল।

IS terrorist module head arrested by Kolkata Police STF in Madhya Pradesh | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 10, 2023 9:47 am
  • Updated:January 10, 2023 10:10 am  

অর্ণব আইচ: আইএস (IS) জঙ্গি হিসেবে ধৃত হাওড়ার দুই যুবক সাদ্দাম ও সইদের মগজ ধোলাই করে ‘জেহাদে’ উদ্বুদ্ধ করা আইএস মডিউল আবদুল রাকিব কুরেশি (Abdul Raqib Qureshi)পুলিশের জালে। মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া থেকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF)। কুরেশি প্রাক্তন সিমি (SIMI) নেতা বলে পরিচিত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সাদ্দাম ও সইদকে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল সরবরাহ করার কথা ছিল কুরেশির। তাদের জেরা করেই মিলেছে কুরেশির খবর। তাকে সোমবার রাতে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) থেকে গ্রেপ্তারের পর এদিন ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার তোড়জোড় চলছে।

এসটিএফ জানিয়েছে, কুরেশির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১২১, ১২১ এ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাদ্দাম ও সইদ তার মাধ্যমেই ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয় বলে খবর। জেহাদ নিয়ে সাদ্দাম ও কুরেশি একই ভাবধারায় বিশ্বাসী। সেই কারণেই উভয়ের যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ হয় বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কুরেশি অস্ত্র সরবরাহ ও তৈরির কথা বলেছিল সাদ্দামদের। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: মস্কো থেকে গোয়ায় ফেরা বিমানে বোমাতঙ্ক! ২৪৪ জন যাত্রী নিয়ে গুজরাটে জরুরি অবতরণ]

কুরেশি ভোপালের (Bhopal) প্রাক্তন সিমি নেতা। ওই এলাকা জুড়েই পরবর্তী সময়ে সক্রিয়তা বজায় রেখেছিল। সে সিরিয়া কিংবা ইরাক গিয়ে আইএস (ISIS) শিবির থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে কি না, তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। কুরেশিকে হেফাজতে নেওয়ার আরজি জানিয়ে তার থেকে এসব তথ্য় জানার চেষ্টা করবে এসটিএফ। 

[আরও পড়ুন: শত্রুঘ্নর পর চিরঞ্জিত, এবার রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র প্রশংসায় TMC বিধায়কও]

জানা গিয়েছে, এম টেকের ছাত্র সাদ্দামের সঙ্গে কুরেশির আলাপ হওয়ার পর বাংলায় হামলার ছক কষতে মদত জুগিয়েছিল বছর তেত্রিশের কুরেশি। সাদ্দামের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ডায়েরিতে আরবি ভাষায় ‘বায়াত’ বা আইএস-এ যোগ দেওয়ার জন‌্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার কথা লেখা রয়েছে। সে যে লিখিতভাবে আইএস-এ যোগ দিয়েছে, এটি তারই প্রমাণ। সাদ্দাম নাকি জেরায় স্বীকার করেছে, আইএসে যোগ দেওয়া প্রত্যেককেই ওই ধরনের শপথ লিখতে হতো। এছাড়াও সাদ্দাম যে আঞ্চলিক প্রধান অথবা ‘আমির’, সেটার এক প্রমাণ ওই ডায়েরি বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এদিকে সাদ্দাম ও সৈয়দ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ড্রোন ও  অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সেই জন্যও তাদের সঙ্গে কুরেশির যোগ আরও নিবিড় হয়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement