Advertisement
Advertisement

Breaking News

Lalbazar STF

পরীক্ষার নথিতে অস্ত্রপাচারকারী নাবালক, সংশয় কাটাতে বিহারে লালবাজারের এসটিএফ

নাবালকত্বের প্রমাণে বিহারের বোর্ড পরীক্ষার শংসাপত্র হাজির করেছিল মুঙ্গেরি অস্ত্র পাচারকারী।

Is the Jharkhand arms smuggler at all a minor? Lalbazar STF heads to Bihar clear doubts | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:November 16, 2022 8:59 am
  • Updated:November 16, 2022 8:59 am

অর্ণব আইচ: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) হোমিওপ‌্যাথিক চিকিৎসকের শংসাপত্রে মেলেনি প্রমাণ। তাই নাবালকত্বের প্রমাণে বিহারের বোর্ড পরীক্ষার শংসাপত্র হাজির করল মুঙ্গেরি অস্ত্র পাচারকারী তরুণ। এবার সেই শংসাপত্র আসল না কি জাল, তা যাচাই করতে এবার বিহারে গেল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি টিম।

এক মাস আগে মারাত্মক অস্ত্র পাচারের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেপ্তার হয় বাবা মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে আব্বু ও তার ছেলে মহম্মদ সাহিল মল্লিক। বিহারের মুঙ্গের থেকে কলকাতায় কার্বাইনের মতো অস্ত্র বিক্রি করতে এসে ধরা পড়ে তারা। অস্ত্র পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় জাল নোটও। গ্রেপ্তারির পর পুলিশ দাবি তোলে যে, ধৃত তরুণ সাহিলের বয়স ১৯ বছর। কিন্তু প্রথম থেকেই সাহিল দাবি করে যে, সে নাবালক। তার এখন মাত্র ১৭ বছর বয়স। ফলে তাকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাত্র-যুবদের ‘গেট ওয়েল সুন’ কর্মসূচিতে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন, হাই কোর্টে মামলা শুভেন্দুর]

সাহিলের বয়সের প্রমাণ হিসাবে তার পরিবারের লোকেরা ঝাড়খণ্ডের এক হোমিওপ‌্যাথি চিকিৎসকের শংসাপত্র পেশ করে। কিন্তু তাতে সন্দেহ হয় এসটিএফ আধিকারিকদের। কোনও চিকিৎসক এভাবে কারও বয়সের প্রমাণ দিতে পারেন না। চিকিৎসকদের কমিটিকে একাধিক পরীক্ষার পর রিপোর্ট জমা দিতে হয়। আবার ঝাড়খণ্ডের ওই শংসাপত্র, এমনকী ওই হোমিওপ‌্যাথিক চিকিৎসকের পরিচয় ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। এরপরই সাহিলের পরিবারের লোকেরা মাধ‌্যমিক পরীক্ষার শংসাপত্র পুলিশের সামনে হাজির করে। দাবি করা হয়, মুঙ্গেরের একটি স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়েছে সে। ওই শংসাপত্রে থাকা বয়স অনুযায়ী, সে এখনও নাবালক।

Advertisement

কিন্তু ওই পরীক্ষার নথি নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহ। তাই লালবাজারের নির্দেশে চলতি সপ্তাহেই বিহারে পৌঁছেছে এসটিএফের একটি টিম। বিহারের শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে ওই শংসাপত্রটি আসল কিনা, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও যে স্কুল থেকে সে পরীক্ষা দিয়েছে বলে দাবি, সেই স্কুলেও যাচ্ছে এসটিএফের টিম। আদৌ ওই স্কুলের ছাত্র সাহিল ছিল কিনা, সেই সম্পর্কে তথ‌্য পেতে স্কুলের শিক্ষকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের, আটকে গেল কর্মশিক্ষকদের চাকরি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ