Advertisement
Advertisement
Nawsad Siddique

ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে নওশাদ সিদ্দিকি, ধর্মতলার মঞ্চে যোগ দিয়ে অনশনের হুঁশিয়ারি

আজ ৫১ দিনে পড়ল ডিএ আন্দোলন।

ISF MLA Nawsad Siddique joins protest of DA at Dharmatala | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 18, 2023 9:45 am
  • Updated:March 18, 2023 1:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএ (DA)আন্দোলনকে সমর্থন করে এবার সরাসরি আন্দোলনকারীদের মঞ্চে পৌঁছে গেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ ধর্মতলার অনশনমঞ্চে তিনি যোগ দেন। আন্দোলনকারীদের দাবির সমর্থনে নিজেও অনশন শুরু করেছেন বলে জানান ভাঙড়ের (Bhangar)বিধায়ক। সরকারের উদ্দেশে তাঁর সাফ বার্তা, ডিএ দিলে আন্দোলন উঠবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তিনিও অনশন চালাবেন। মহার্ঘভাতা নিয়ে বারবার সরকারের কড়া বার্তার পরও বিরোধী বিধায়ক নওশাদের (Nawsad Siddique)এই মঞ্চে যোগদান নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Nawsad Siddique
ছবি: শুভ্ররূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের। এই দাবিতে ধর্মতলায় প্রথমে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন আরও জোরদার করে অনশন করেন তাঁরা। তা ৫০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। শনিবার সেই অনশন মঞ্চেই যোগ দিতে দেখা গেল সদ্য জামিন পাওয়া ভাঙড়ের বিধায়ককে। সেই মঞ্চ থেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট বলেন, ”ডিএ যদি না পাওয়া যায়, তাহলে এই আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়বে। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: রানির ছবি দেখে অসন্তুষ্ট নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের টুইট, জবাব দিলেন বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জী’]

আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই কি সরাসরি মঞ্চে এলেন? এর জবাবে নওশাদ জানান, তিনি ঠিক করেছিলেন যে একদিন ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশন মঞ্চে যোগ দেবেন। সেইমতো শনিবার সকালেই সেখানে পৌঁছে যান। এবং সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনি নির্জলা উপবাস (Hunger Strike) করবেন বলে জানিয়েছেন। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পুরনো অভিজ্ঞতা টিমের সঙ্গে ভাগ করে নিক প্রীতম’, বলছেন প্রাক্তন সবুজ-মেরুন তারকা কাটসুমি]

এদিকে,আজ থেকে ডিএ আন্দোলন আরও জোরদার হচ্ছে। শুরু হচ্ছে ‘ডিজিটাল অসহযোগ’ (Digital Non-Cooperation)। আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারি কর্মীদের বহুক্ষেত্রেই অফিসের পর কাজ করতে হয়। বিশেষত মিড ডে মিলের খতিয়ান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বসে কাজ করতে হয় শিক্ষকদের। সেক্ষেত্রে সরকারের তরফে না দেওয়া হয় কম্পিউটার, ইন্টারনেটের বন্দোবস্ত তো দূরস্ত। বহু ক্ষেত্রেই তাঁদের নিজস্ব ফোন এবং ডেটা ব্যবহার করতে হয়। তবে এবার আর তাঁরা এসব করবেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তৈরি করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও সকলকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ আন্দোলনকারীদের। এভাবেই আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়াচ্ছেন তাঁরা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ