ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: নেপাল সীমান্তে ডেরা বেঁধেছে পাক চর সংস্থা আইএসআই (ISI)। আর তাদের দোসর চিনা গোয়েন্দা সংস্থা! এই ‘জোড়া ফলা’ রুখতে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। রাজ্য গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, কলকাতায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সংযোগ বৈঠকে আইএসআইয়ের সক্রিয়তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বাংলাদেশে (Bangladesh) পাক চর সংস্থা আইএসআইয়ের পক্ষে জঙ্গিদের মদত জোগানো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টায় এখন জঙ্গিদের কার্যকলাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
দিন কয়েক আগেই কলকাতা পুলিশের খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে ভারতীয় আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের নেতা আবু তালহা। গোয়েন্দাদের দাবি, এবার আইএসআই ডেরা বেঁধেছে নেপালের (Nepal) সীমান্তবর্তী এলাকায়। ওই ডেরাগুলি নেপালে হলেও উত্তরবঙ্গ থেকে বেশি দূরে নয়। নেপালে বসেই আইএসআইয়ের আধিকারিকরা নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদেরও। উত্তরবঙ্গ হয়ে আইএসআইয়ের এজেন্টরা নেপালের সীমান্তে পাক আধিকারিকদের গোপন ডেরায় গিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে, এমন খবরও আসার পর তা যাচাই করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, আইএসআইয়ের সঙ্গে সঙ্গে চিনের (China) গোয়েন্দারাও নিজেদের নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকায়।
গত মাসেই উত্তরবঙ্গ থেকে নেপালে পালানোর আগে উত্তরবঙ্গের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এসএসবি-র (SSB) হাতে ধরা পড়েছে ইয়ংহিন পেং নামে এক চিনা চর। এছাড়াও ভিনরাজ্য থেকেও সম্প্রতি একাধিক চিনা চর ধরা পড়েছে। তাদের কাছ থেকে নেপালি পাসপোর্ট, নেপালি ভুয়ো পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। উত্তরবঙ্গের পানিট্যাঙ্কির কাছ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ইয়ংহিনকে জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, নেপালি সেজেই সে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ছিল। নিজেকে নেপালি বলে পরিচয় দিত। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, নেপালের কয়েকটি জায়গায় চিনের চররাও ডেরা তৈরি করেছে। সেখানে চিনা চরদের রীতিমতো নেপালি ও হিন্দি (Hindi) শেখানো হয়। ধরা পড়ার পর তারা টানা নেপালি ও হিন্দিতেই কথা বলার চেষ্টা করে।
রাজ্যের গোয়েন্দাদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, আইএসআই ও চিনা গোয়েন্দা সংস্থার চররা নেপালের কাঁকরভিটার কয়েকটি গোপন ডেরায় রয়েছে বলে খবর। এই রাজ্যের সঙ্গে নেপালের প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে। মিরিক ও পানিট্যাঙ্কির বেশিরভাগ এলাকায় সীমান্ত খোলা। মূল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত না করে এলাকার বাসিন্দাদের মতো গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করে তারা সীমান্ত পারাপার করতে পারে। আবার নেপালের বাসিন্দা সেজে এই রাজ্যের যে কোনও জেলায় তারা আত্মগোপন করে থাকতেও পারে বলে আশঙ্কা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.