Advertisement
Advertisement
SSC Verdict

‘অযোগ্যরা বাদ পড়া জরুরি, যোগ্যদের ভয় নেই’, ১৮ মাসের মাথায় চাকরি খুইয়েও আশাবাদী প্রিয়াঙ্কা

২০২২ সালের ২০ মে বাঘাযতীন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা।

Jobless Priyanka Shaw opens up on SSC Verdict by Calcutta HC
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 22, 2024 7:34 pm
  • Updated:April 22, 2024 7:37 pm

দীপালি সেন: বহু লড়াই করে মিলেছিল চাকরি। হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে নিয়োগ পেয়েছিলেন ঢাকুরিয়ার প্রিয়াঙ্কা সাউ। কিন্তু সেই আনন্দ দেড় বছরের বেশি স্থায়ী হল না। সেই আদালতের নির্দেশেই গেল চাকরি। তাতে অবশ্য বিচলিত নন ‘লড়াকু’ প্রিয়াঙ্কা। বরং অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্যদের সুযোগ দিতে হাসিমুখে সহযোগিতা করতে রাজি তিনি। আত্মবিশ্বাসের সুরে বলছেন, যোগ্যদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যোগ্যদের সুযোগ দিতে অযোগ্যদের বাদ দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি, মত সদ্য় চাকরিহারা শিক্ষিকার।

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর বাঘাযতীন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১৬-র প্যানেল বাতিল হতেই চাকরি গেল তাঁর-ও। তার পরেও তিনি বলছেন, “যদি হাই কোর্টের রায়ে আমাদের আবার পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, আমাদের ওএমআর পূনর্মূল্যায়ন হয়, সেক্ষেত্রে যোগ্যদের কোনও ভয় পাওয়ার মতো বিষয় আছে বলে আমি মনে করছি না।” প্রিয়াঙ্কা আত্মবিশ্বাসের সুরে বলছেন, “যোগ্যদের চাকরি তাঁরা আবার যথারীতি ফেরত পাবে বলেই আমার ধারণা। তাঁদের হয়তো আর একবার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতের বীরগাথা সিয়াচেন, ইঙ্গিতে পাকিস্তানকে সমঝে চলার হুঁশিয়ারি রাজনাথের]

অঙ্কিতা অধিকারী বনাম ববিতা সরকার। এসএসসিতে যোগ্য প্রার্থীর চাকরি পাওয়া নিয়ে ববিতা সরকারের আইনি লড়াই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC)  রায়ে মন্ত্রীকন্যার চাকরি বাতিল হয়ে মেখলিগঞ্জের ওই স্কুলে ওই পদেই চাকরি পেয়েছেন ববিতা। সেই মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়া আরও কয়েকজনের মধ্যে ছিলেন ঢাকুরিয়ার প্রিয়াঙ্কা সাউ। লড়াই শেষে অবশেষে নিয়োগপত্র এসেছিল তাঁর হাতে। মাত্র ৭ মাসের মধ্যে ফের তিমিরে তিনি। অযোগ্য-যোগ্যর লড়াইয়ে ‘সর্বহারা” প্রিয়াঙ্কা। তবে তাতে আপশোস নেই তাঁর। কারণ তিনিও তো রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। ফলে যোগ্য হলেও বঞ্চিত থাকার জ্বালাটা টের পান। আর তাই  নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে অযোগ্যদের ছেঁটে ফেলতে চাকরিহারার দাবি, “যারা অযোগ্য, তাদেরকে বাদ দিতে গেলে, এই প্রক্রিয়াটার মধ্যে দিয়ে আমাদের প্রত্যেককে যেতে হবে। এবং আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকের দায়বদ্ধতা এটা যে আমরা এই সহযোগিতাটা করব, যাতে অযোগ্যদের একেবারে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যায়। যোগ্যদের সুযোগ দিতে অযোগ্যদের বাদ দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বলো ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, মোদির প্রশংসায় গান বেঁধে চরম হেনস্তার শিকার কর্নাটকের যুবক!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ