Advertisement
Advertisement

Breaking News

Junior doctors

কর্মবিরতি উঠল, সাংবাদিক নিগ্রহের প্রসঙ্গ এড়িয়েই ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

সাংবাদিকদের 'গালমন্দ' করা চিকিৎসকরা বললেন, 'সব পেশাকে সম্মান জানানো উচিৎ'।

Junior doctors wirhdraw their strike after discussing with CM and GB
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 17, 2019 9:15 pm
  • Updated:June 18, 2019 1:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিক নিগ্রহ নিয়ে জবাব এড়িয়েই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন এনআরএসের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা৷ উলটে সমস্ত পেশার প্রতি সম্মান দেখানোর আবেদন শোনা গেল তাঁদের গলায়৷ খবরে সকলে খুশি হলেও, এই আচরণে ডাক্তারদের দায়িত্ববোধ প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়া থেকে আটকানো গেল না৷

[আরও পড়ুন:মানসিক চাপ কমাতে কেবল লাইনের কানেকশন কেটেছিল পরিবহ’র পরিবার!]

বিকেলের বৈঠকেই সুদিন ফেরার আলো দেখা গিয়েছিল৷ রাত একটু গড়াতেই বোঝা গেল, নবান্নে জুনিয়র ডাক্তার-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক একেবারে ফলপ্রসূ৷ এক বৈঠকেই জট কাটিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সন্ধেবেলা গভর্নিং বডির বৈঠক শেষে এনআরএস চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা করলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ভরসা রেখে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন৷ এতদিন যারা আন্দোলনের পাশে ছিলেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানালেন৷ যত দ্রুত সম্ভব, সকলকেই যার যার কাজে ফিরে যাওয়ার আবেদন জানালেন৷ জোড়হস্তে ক্ষমা চেয়ে নিলেন সাধারণ মানুষের কাছে, তাঁদের অসুবিধার জন্য৷

Advertisement

এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের সচল হয়ে যাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা৷ তবে এই সাংবাদিক সম্মেলনেও জুনিয়র চিকিৎসকদের সুর বিশেষভাবে লক্ষণীয়৷ কর্মবিরতির দিনগুলোর চড়া সুর সোমবার বিকেলে নবান্নের ঘরে একেবারেই মোলায়েম৷ সেখান থেকে বেরিয়ে সন্ধের সাংবাদিক বৈঠকে ফের সুর চড়ল তাঁদের৷ সাধারণ মানুষকে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুকে দাঁড় করিয়ে তাঁদের ঘোষণা, ‘আপনাদের জন্যই আমাদের আন্দোলন৷ আপনারা যাতে ঠিকমত পরিষেবা, উন্নত পরিকাঠামোয় চিকিৎসা করাতে পারেন, তার জন্যই আমাদের সংগ্রাম৷’ তবে যে এতদিন নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন ডেকেছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল? এই প্রশ্নের কোনও যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর মিলল না বক্তার কাছে৷ বরং বেশ হুঁশিয়ারির সুরেই বললেন, ‘ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলা চলবে না৷ কোনও পরিস্থিতিতেই নয়৷ এব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’৷ পরবর্তী সময়ে এমনটা হলে, কঠিন শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ এমনটাই ‘মাননীয়া’ বলেছেন৷ তিনিও আমাদের সঙ্গে এব্যাপারে একমত৷ কোনও পেশার কাউকেই এভাবে মারধর করা যায় না৷’

Advertisement

[আরও পড়ুন: আন্দোলনের হুঙ্কার ছেড়ে নরম সুরে আলোচনা, নবান্নের বৈঠকে ভিন্ন রূপে জুনিয়র ডাক্তাররা]

এখানেও প্রশ্ন জাগে, তাহলে সোমবারই এনআরএস চত্বরে খবর করতে গিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বর্ষীয়ান মহিলা সাংবাদিক ধাক্কা খেলেন কাদের হাতে? তারা কি বহিরাগত? আন্দোলনে বহিরাগত যোগ? এই প্রশ্ন করায় অবশ্য চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা জানালেন, তাঁরা সাংবাদিক নিগ্রহের কথা জানেনই না৷ জুনিয়র ডাক্তারদের এমন দায়িত্ববোধের এমন এক নমুনাও টের পাওয়া গেল আন্দোলনের পাশাপাশি৷ সবমিলিয়ে, এক এনআরএস কাণ্ড কিন্তু গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে রইল, যার কাণ্ডারি জুনিয়র ডাক্তাররাই৷         

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ