Advertisement
Advertisement

Breaking News

Abhijit Ganguly

কাশ্মীরে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা! উদ্বেগ প্রকাশ করে শাহকে চিঠি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

পুলিশের দেশবিরোধী মনোভাবের কথাও তিনি এজলাসে জানিয়েছেন।

Justice Abhijit Ganguly writes letter to Amit Shah over Kashmir issue | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 8, 2022 11:01 am
  • Updated:June 8, 2022 1:37 pm

গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টের বিচারপতি তিনি। রীতিমতো সাংবিধানিক পদ। তারপরও কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এমনকী অতি সাধারণ এক সরকারি কর্মীর মুখ থেকে শুনতে হয়েছিল, “জাহান্নমে যাও!” বিড়ম্বনা ও অসম্মান এতটাই যে, ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতার গোটাটা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এজলাসে বসে বিচারপতি বলেন, তাঁর ধারণা, এখনও কাশ্মীরের বহু পুলিশ আধিকারিক দেশবিরোধী মনোভাব পোষণ করেন। অসম্মানিত এই বিচারপতি আর কেউ নন, তিনি কলকাতা হাই কোর্টের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন ভরা এজলাসে নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথাই শুনিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আদালতের ছুটিতে লে-লাদাখ ঘুরতে গিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। লাদাখের হান্দুরমান গ্রাম পর্যন্ত যেতে কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যার সূত্রপাত দ্রাসে। বিচারপতির কথায়, সাধারণত যে কোনও বিচারপতির কনভয়ে থাকেন জেলা জজ কোর্টের কর্মী ও পুলিশ। তাঁরাই পথ চিনিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু দ্রাস পৌঁছে তিনি দেখেন কনভয়ে পুলিশের কোনও কর্মী বা আধিকারিক নেই। কারণ জানতে ২৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে দ্রাস থানায় যান বিচারপতি নিজেই। সেখানে গিয়ে দেখেন পুলিশ অফিসার ঘুমাচ্ছেন। পুরো ঘটনা বলে অনুরোধ জানান তাঁকে। এরপর তাঁকে ওয়ার মেমোরিয়াল ঘুরিয়ে দেখান থানার এসএইচও। সে সময় বিচারপতিকে আশ্বাসও দেওয়া হয়, এরপর থেকে তিনি প্রোটোকল অফিসার পাবেন। আশ্বাস শুনে শ্রীনগরের দিকে রওনাও হন বিচারপতি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভবানীপুর জোড়া খুন: খোয়া যাওয়া ফোন মিলল ধর্মতলার ম্যানহোলের পাশে, কললিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিশ]

কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে মিথ্যা বলা হয়েছে। শ্রীনগর পর্যন্ত পৌঁছতে কেউ যাতে দায়িত্ব নেয়, সে জন্য সোনমার্গের পুলিশের সাহায্য চান বিচারপতি। সেখানেও খারাপ অভিজ্ঞতা। সোনমার্গের এসএইচও জানান, থানার গাড়ি খারাপ। সাহায্য করা সম্ভব নয়। শুনেই সোনমার্গ থানায় যান বিরক্ত বিচারপতি। গিয়ে দেখেন ২৮টি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এবং সবক’টি সচল। এরপর কোনওক্রমে সোনমার্গের হোটেলে রাত কাটান তিনি।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর অনুমান, দ্রাসের পুলিশ অফিসারদের মধ্যে দেশ বিদ্বেষী মনোভাব রয়েছে। এজলাসে বিচারপতি জানিয়েছেন, গল্প করতে করতে এক পুলিশ কর্মী তাঁকে বলেন, “তুরতুক তো আসলে পাকিস্তানের এলাকা! ভারত সেটা দখল করে নিয়েছে।” ওই পুলিশ অফিসার নিজেও তুরতুকের বাসিন্দা। তাই তাঁর দাবি, সেখানকার সব তিনি জানেন। বিচারপতির দাবি, সোনমার্গের অফিসারদের মধ্যেও একই মনোভাবের পরিচয় পান তিনি। শুধু পুলিশ নয়, একই ব্যবহার ছিল সরকারি পদস্থ অফিসারদের একাংশেরও। সোনমার্গের হোটেলে রাত কাটানোর পর শ্রীনগরে যান বিচারপতি। সেখানে জম্মু-কাশ্মীরের হাই কোর্ট দেখতে যান তিনি। সেখানেও বিচারপতিকে প্রোটোকল অফিসার দেওয়ার কথা বলা হয়। সাধারণত প্রোটোকল অফিসার আসেন বিচারপতিকে রিসিভ করতে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রোটোকল অফিসের সাধারণ এক কর্মীকে পাঠানো হয়েছিল। শ্রীনগরে তাঁর জন্য অত্যন্ত খারাপ মানের হোটেলের ব্যবস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, সেখানকার প্রোটোকল অফিসের কর্মী তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘জাহান্নমে যাও।” পুরোটা জানিয়েই চিঠি তাঁর।

[আরও পড়ুন: সংবাদপত্রে পড়েছিলেন মাধ্যমিকের অভাবী কৃতীর কথা, অর্থ সাহায্যের জন্য স্কুলে হাজির বৃদ্ধ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ