BREAKING NEWS

১৩ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  রবিবার ২৮ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘দুর্নীতির সমুদ্রে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবে’, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Published by: Sayani Sen |    Posted: March 29, 2023 6:50 pm|    Updated: March 29, 2023 7:19 pm

Justice Ganguly says many accused involved in TET recruitment scam । Sangbad Pratidin

গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই, ইডি’র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সামনে আসছে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুর্নীতির ব্যাপকতা দেখে কার্যত স্তম্ভিত কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির দাবি, দুর্নীতির মহাসমুদ্রে তিনি হাবুডুবু খাচ্ছেন। আর সেখান থেকেই মানিক বেছে আনতে হবে।

২০১৬ সালে প্রাথমিক নিয়োগের প্যানেল বাতিলের দাবি ওঠে। তবে পুরো প্যানেল বাতিলের আগে যোগ্য প্রার্থীদের কথা ভাবতে হবে বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পালটা বিচারপতিকে প্রশ্ন করেন, “ন্যায্যদের চিহ্নিত করা যাবে কী করে? উত্তরপত্র তো নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যদি প্যানেল বাতিল করা হয়, তবে ন্যায্যদের বক্তব্য আলাদাভাবে শুনতে পারে আদালত।”

[আরও পড়ুন: নিশানায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? ‘খেয়ালখুশি মতো রায় দেন’, সুপ্রিম কোর্টে সরব মুকুল রোহতগী]

বিচারপতি আরও বলেন, “এত ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ আসছে। আদালতের কাছে এত তথ্য প্রমাণ আছে যার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে সংগঠিত হওয়া ২০১৬’র নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে এটা করলে কিছু বৈধভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। একজনও বৈধপ্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমার ভাল লাগবে না। অথচ এখনও এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কিছু দালাল বাজার ঘুরে বেড়াচ্ছে। কনফিডেন্সিয়াল নামে একটি সংস্থাকে অভিহিত করে টেন্ডার ছাড়া কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে! এটা কী হচ্ছে?”

আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “দুর্নীতির সব নদী একই সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে। সমুদ্র থেকে মানিক বেছে তুলতে হবে। দুর্নীতির সমুদ্রে আপনারা সাহায্য করার পরেও আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। এ তো মহাসমুদ্র। দুর্নীতির মহাসমুদ্র। এই অবস্থায় ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। সিবিআই তো কিছুই করছে না। তারা তো জানেও না পিছনের দরজা দিয়ে কোন কাজ হয়েছে।” শিক্ষাদপ্তরের ভূমিকা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি, “এই সরকারের শিক্ষাদপ্তর কী করে এই দুর্নীতি দেখেও তাদের চোখ বন্ধ করে রাখল সেটা ভেবে আমি বিস্মিত। শিক্ষাদপ্তরের কেউ কেউ হয়তো হাতে হাত রেখে এই দুর্নীতি করেছিলেন।” প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “অন্তত ৪২ হাজার ৫০০ জনের এই প্যানেল থাকবে না বাতিল হবে সেবিষয়ে সব পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে আদালত।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ এপ্রিল।

[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলা: ইডি-সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে