গৌতম ব্রহ্ম ও সুবীর দাস: কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার। পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় জেলাশাসককে আলাদা করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। জেলা পুলিশের কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন।
শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ কল্যাণীর রথতলা এলাকার টিনের ছাউনি ঘেরা ঘর থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। লেগে যায় আগুন। তখন ওই বাজি কারখানায় কাজ চলছিল। কারখানায় কর্মরত ৫ শ্রমিক আটকে পড়েন। একজন আগুনে পুড়ে কোনওমতে কারখানার বাইরে আসেন। কিন্তু কারখানার ভিতরে আটকে পড়েন ৪ জন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। এদিন সন্ধ্যায় বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেন বেঙ্গল এসটিএফের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এলাকায় পৌঁছন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও।
রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমারসানি রাজও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১ জন জখম। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ওই বাজি কারখানাটি আদৌ বৈধ নাকি বেআইনি তা তদন্তসাপেক্ষ। ইতিমধ্যে বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে। তাকে জেরা করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।”
ইতিমধ্যে কল্যাণী বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
তার আগে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। এদিন বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাত্র কিছুক্ষণ পরেই কল্যাণীতে যান বিজেপির ২ বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং বঙ্কিম হাজরা। তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.