সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবায় কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারের খুনের ঘটনায় আরও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, যিনিই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুন না কেন, তিনি মৃতের পূর্ব পরিচিত। বন দপ্তরের প্রাক্তন এক আধিকারিক ও ফ্ল্যাটের পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীর জানতে পেরেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই মহিলা আধিকারিক অত্যন্ত মিশুকে ছিলেন। সহজেই সকলকে বিশ্বাস করে ফেলতেন। কিন্তু, কেন তাঁকে খুন হতে হল, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
[মার্কিন সেনার জেনারেল পরিচয়ে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকার প্রতারণা বাগুইআটিতে]
মৃতের নাম শীলা মজুমদার। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাটমোর-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন। একমাত্র ছেলে থাকে আমেরিকায়। সল্টলেকে দিদির কাছে থাকতেন শীলাদেবী। তবে প্রতি সপ্তাহান্তেই আসতেন কসবার টেগোর পার্কের ফ্ল্যাটে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেল সোওয়া পাঁচটা নাগাদ শীলাদেবীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর কসবা ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন এক পুরনো বন্ধু। বন দপ্তরের প্রাক্তন ওই আধিকারিক পুলিশকে জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি তিনি। শেষপর্যন্ত, প্রতিবেশীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তিনি। দেখেন, গোটা ফ্ল্যাটটি লণ্ডভণ্ড। বিছানাও ওলটপালট। আর রান্নাঘরে মেঝেতে পড়ে রয়েছে বছর ছাপ্পানের শীলা মজুমদার। খবর দেওয়া হয় কসবা থানায়। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি পোড়া নাইটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপটি খোলা ছিল। পাইপের সঙ্গে একটি দড়ি লাগানো ছিল। তদন্তকারীরা অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রমাণ লোপাটের পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের। কিন্তু, দড়িটি ছিঁড়ে যাওয়া সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। পাড়া প্রতিবেশীর জানিয়েছেন, অত্যন্ত হাসিখুশি ও মিশুকে প্রকৃতির ছিলেন শীলা মজুমদার। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া কসবার টেগোর পার্কে।
[পাচারকারীদের থেকে উদ্ধার করা কঙ্কাল দেওয়া হল রাজ্যের ৩ হাসপাতালকে]