Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলকাতা

কাটা রাস্তা মেরামত না করে নতুন প্রকল্প শুরু করা যাবে না, নিদান পুরমন্ত্রীর

শহরে ডেঙ্গুর দাপট রুখতে কড়া পদক্ষেপ পুরসভার।

KMC is taking new steps to prevent Dengue in Kolkata
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 20, 2020 9:10 pm
  • Updated:June 20, 2020 9:10 pm

কৃষ্ণকুমার দাস: নিকাশি বা পানীয় জলের লাইন বসাতে গিয়ে কলকাতায় কোনও রাস্তা কাটলে কাজ সম্পূর্ণ হতেই সঙ্গে সঙ্গে তা চলাচলের যোগ্য করতেই হবে। একসঙ্গে একই এলাকায় পরপর অনেকগুলি রাস্তা কাটা যাবে না। কেইআইপি, টেলিফোন বা কেবল সংস্থা, সবাইকেই একটি রাস্তা কাটলে সেটির কাজ সম্পূর্ণ করে তবেই পরবর্তী প্রকল্পে হাত দিতে হবে। পুরোদমে বর্ষা শুরুর আগে সমস্ত শহরের রাস্তার হাল ফেরাতে শনিবার এমনই নির্দেশ পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। মূলত জমাজলে ডেঙ্গু রুখতে রাস্তা সারাইয়ের পাশাপাশি পুরসভার জঞ্জাল সাফাই ও উদ্যান বিভাগকেও রাস্তা থেকে সমস্ত কাটা গাছ ও ডালপালা সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাস্তা বিভাগের প্রশাসক রতন দে ও ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠিয়ে সরেজমিনে মহানগরের বেহাল রাস্তার তালিকা তৈরি করে মেরামতের কাজ শুরু করিয়েছেন মুখ্যপ্রশাসক।

‘টক টু কর্পোরেশন’ কর্মসূচিতে মুখ্যপ্রশাসককে এদিন ফোনে গড়িয়ায় ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের তারকনাথ দত্ত কেইআইপি রাস্তা খুঁড়ে রেখে চলে যাওয়ায় নাগরিকদের চরম দুর্ভোগের অভিযোগ করেন। তখনই তিনি কেইআইপিকে নির্দেশের কথা জানিয়ে দেন। ঢাকুরিয়ার ৯১ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি ভেঙে ক্ষতির অভিযোগ করেন রথীন দত্ত। শুনেই ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে। ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মতলা রোডে মাত্র দেড় কাঠা জমিতে বেআইনি পাঁচতলা নির্মাণের অভিযোগ করেন ফোর্ট উইলিয়ামের দীপক নাগ। ডিজি বিল্ডিংকে সরেজমিনে দেখে আইনি ব্যবস্থার নির্দেশ দিলেন। এদিন ‘টক টু কর্পোরেশন’-এ ফোনে একাধিক নাগরিক রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করেন। ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৮২ বছর বয়স্ক বিভূতিভূষণ পাত্র রাস্তা ও বৃষ্টির জল জমে থাকা নিয়ে অভিযোগ করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন : করোনা ঠেকানোর শিল্ড পরলেই পরিষ্কার দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ! বঙ্গতনয়ের অভিনব আবিষ্কার]

পুরমন্ত্রী বিভাগীয় ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেন শীঘ্রই তিনি নিজেই ওই প্রবীণ নাগরিকের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এদিনও স্পষ্ট জানান, যে সমস্ত বাড়ি বা শূন্য জমিতে জঞ্জাল জমে থাকবে তা যদি পুরসভা পরিষ্কার করে তবে খরচ বহন করতে হবে সম্পত্তির মালিককেই। ডেঙ্গু মোকাবিলায় গড়িয়াহাটের কাছে একটি বাড়ির ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা নিতে এদিন নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ।  

Advertisement

[আরও পড়ুন : লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে দেশবিরোধী প্রতিবেদন ‘গণশক্তি’র! কী বলছে আলিমুদ্দিন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ