অভিরূপ দাস: ভাইরাস আর অতিবেগুনি রশ্মি দুই-ই কাবু হবে। বিশেষ টু-ইন-ওয়ান ফেস শিল্ড বাজারে এনেছেন বঙ্গতনয়। রাত পোহালেই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2020)। রবিবার কাটায় কাটায় সকাল ১০.৪৬ মিনিটে চাঁদের ছায়া পড়বে সূর্যের উপর। সূর্যের চারপাশে দেখা যাবে আলোর বলয়। এই গ্রহণে চাঁদের ছায়া সম্পূর্ণ ভাবে সূর্যকে গ্রাস করতে পারবে না।
মহাজাগতিক এই দৃশ্য দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। তবে ভয়ও বিস্তর। করোনা পর্বে মাস্ক-ফেস শিল্ড পরা বাধ্যতামূলক। তা খুললে ভাইরাস হানা দিতে পারে। অন্যদিকে খালি চোখে সূর্য গ্রহণ দেখতেও বারণ করেছেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা। গ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা জানিয়েছেন নাসাও।
জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলছেন, খালি চোখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সূর্য গ্রহণ দেখলেও তা রেটিনার উপর প্রভাব ফেলে। যার কারণে চোখে দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারে মানুষ। সে কারণেই নয়া উদ্ভাবন। এক্স-রে প্লেটের ফেস শিল্ড। যে শিল্ড পড়লে SARS-CoV-2 আর অতিবেগুনি রশ্মি একসঙ্গে জব্দ।
[আরও পড়ুন: আকাশ থেকে তীব্র গতিতে এসে পড়ল ধাতব চাঁই, বিকট শব্দে কাঁপল এলাকা]
সল্টলেক বিজি ব্লকের উল্লাস চায়ের দোকানে উপচে পরা ভিড়। শনিবারের বারবেলায় সে ভিড় চা খেতে নয়। তবে? স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘২০১৯-এর ২৬ ডিসেম্বর শেষ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। আবার আগুনের আংটি আকাশে দেখার লোভ সামলাতে পারছি না।’ এদিকে গ্রহণের সময় সূর্যরশ্মি অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে যা চোখে প্রভাব ফেলে সে কারণেই এক্স-রে প্লেটের ফেস শিল্ড কিনে নিয়েছেন তিনি। ১০০ টাকা করে এই ফেস শিল্ড বিক্রি হয়ে গিয়েছে হু হু করে। নয়া শিল্ডের উদ্ভাবক অমিত চক্রবর্তী আর বিধান রায়ও তাজ্জব বনে গিয়েছেন। তাঁদের কথায়, “যদি ভাইরাস আর সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি একসঙ্গে ঠেকাতে পারি, এমন চিন্তা থেকেই এক্স-রে প্লেট জোগাড় করতে শুরু করি। এত যে চাহিদা হবে আন্দাজ করতে পারিনি।”