সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2020)। একটু একটু করে সূর্যকে ঢেকে দেবে চাঁদ। তবে পুরো অন্ধকার না হয়ে তৈরি হবে আগুনের আংটি বা রিং অফ ফায়ার। আংশিক গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ। আর শেষ হবে বেলা ৩.০৪ মিনিটে। এই সময়কালের মধ্যে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলার কথাই বলেন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা।
কথিত আছে, সেই নিয়মগুলি না মানলে নাকি বড়সড় কোনও বিপদের মুখোমুখি হওয়াও অসম্ভব কিছুই নয়। জীবনের সুখ সমৃদ্ধির কথা ভেবে অনেকেই বৈজ্ঞানিক ভিত্তির কথা ভাবনাচিন্তা না করে সূর্যগ্রহণের দিন কিছু নিয়ম মেনে চলেন। আপনিও কী তাঁদেরই মতো? বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না মেনেই সূর্যগ্রহণের দিন কী করবেন আর কোন কাজ করবেন না, তা স্থির করেছেন? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে আপনাকে নিয়ম সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে যদি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এবং কথিত ধারণা সম্পর্কে জানতে চান, তবে চলুন তা ঝটপট জেনে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন: রথের দিনই ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে তারাপীঠ মন্দির, জেনে নিন প্রবেশের নিয়ম]
বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, ভারতের প্রায় বেশিরভাগ জায়গা থেকেই রবিবার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশ থেকে তা দেখা যাবে। এটি স্পষ্ট দেখা যাবে আফ্রিকার কিছু অংশেও। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে পুরোপুরি সূর্যগ্রহণ কোনওভাবেই দেখা যাবে না। আবার আকাশে মেঘ থাকলে সূর্যগ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কমবে যথেষ্টই। তবে আকাশ পরিস্কার থাকলে কলকাতায় সকাল ১০.৪৬ নাগাদ দেখা যেতে পারে গ্রহণ। কিন্তু ভুলেও সূর্যগ্রহণ চলাকালীন খালি চোখে আকাশের দিকে তাকাবেন না। আইএসও স্বীকৃত সোলার গ্লাস, পেরিস্কোপ, টেলিস্কোপ বা দূরবীনের সাহায্য নিন। আর কিছু না পেলে অন্তত পক্ষে সানগ্লাস পরে সূর্যের দিকে তাকান। কারণ, গ্রহণের সময় সূর্যরশ্মি অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে। তাই খালি চোখে দেখলে চোখ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্ধত্বও অস্বাভাবিক কিছুই নয়।
গ্রহণের সময় অনেকেই জলে তুলসি এবং দুর্বা ঘাস দিয়ে রাখেন। তবে সেদিন তুলসি গাছে হাত দেওয়া বারণ। তার আগেই গাছ থেকে পাতা তুলে রাখেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার সেই সময় রান্না করেন না। ভাতও খান না।
কারও কারও বিশ্বাস, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য নাকি গ্রহণ অত্যন্ত অশুভ। তাই সেই সময় তাঁদের বাড়ির বাইরে বেরতে দেওয়া হয় না। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, গ্রহণ চলাকালীন যৌন মিলনও নাকি অনুচিত। সেই সময় মিলনের ফলে যদি সন্তানের জন্ম হয় তবে তার চারিত্রিক দোষ থাকতে পারে। তবে এই দাবিও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন।
[আরও পড়ুন: বহু ঝড়ঝঞ্ঝা সামলেও গড়িয়েছে রথের চাকা, করোনাতঙ্কে প্রথমবার বাধা পেলেন পুরীর জগন্নাথ দেব]
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকলেও কথিত আছে, গ্রহণ চলাকালীন নাকি সেফটিপিন লাগানো এবং গয়না পরাও নিষেধ। গ্রহণের সময় চুল, দাড়িও কাটেন না অনেকেই। কেউ কেউ বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে শুদ্ধবস্ত্রে দানধ্যান করাই ভাল। তাতে সংসারের শ্রীবৃদ্ধি হয়।