Advertisement
Advertisement

ক্লারার মৃত্যুর তদন্তে পাঁচতারা হোটেলে পুলিশ

চারদিন কাটলেও এখনও খুলল না রহস্যের জট।

Kolkata air hostess death: Murder or suicide cops still in dark
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 19, 2017 11:31 am
  • Updated:August 19, 2017 11:31 am

স্টাফ রিপোর্টার: খুন! আত্মহত্যা! নাকি দুর্ঘটনা! এই তিন প্রশ্নে এখনও গোত্তা খাচ্ছে বিমানসেবিকার মৃত্যুরহস্য। তবে আপাতত যা তথ্য প্রমাণ তাতে দুর্ঘটনার কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এটি খুনের ঘটনা কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটছে না। বিমান সেবিকার পরিবারের নিস্তব্ধতাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কোনওরকম অভিযোগ না করেই ক্লারার দেহ নিয়ে চলে গিয়েছে পরিবার।

[ফুলবাগানে নাবালিকা বধূর রহস্যজনক মৃত্যু, উঠছে নির্যাতনের অভিযোগ]

Advertisement

শুক্রবারের পর শনিবার পার্কস্ট্রিটের সেই পাঁচতারা হোটেলের পানশালায় যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। পানশালার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। সেদিন কত ধরনের ও ঠিক কত পেগ মদ ক্লারা ও তাঁর বন্ধুরা পান করেছিলেন তা জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবার আরজিকর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের ১২ জনের একটি দল যায় কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কাননের এসি ৪৯ ফ্ল্যাটে। ঘটনার দিন বিল্ডিং থেকে প্রায় আট ফুট দূরে পড়ে ছিল কনশিট ক্লারা বংশরাইয়ের মৃতদেহটি। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে ফরেনসিক টিমটি। তারা চারতলায় ক্লারার ফ্ল্যাট থেকে ভারী জিনিস ফেলে দেখে, সত্যিই যদি উপর থেকে সে পড়ে গিয়ে থাকে তবে ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে পড়ত দেহটি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চারতলা থেকে পড়ে গেলে ঠিক যে জায়গায় মেয়েটির দেহ পড়ে থাকা উচিত ছিল তার থেকে কিছুটা দূরেই পড়ে ছিল ক্লারার দেহ। এখানেই রহস্য দানা বেঁধেছে। ফরেনসিক টিম জানিয়েছে, দেহটি ওই শেডের উপর পড়লে শেডটি স্বাভাবিক অবস্থাতেই ভেঙে যেত। কিন্তু তা হয়নি। যদিও ক্লারার জানালার ঠিক নিচেই রয়েছে শেডটি। উপর থেকে ভারী জিনিস পড়লেও সে আওয়াজ কেউ পেলেন না কেন তাই নিয়েও খটকা রয়েছে ফরেনসিক টিমের।

Advertisement

[বিমানসেবিকার মৃত্যুতে নয়া মোড়, খুন করে কি ফেলে দেওয়া হয়েছিল দেহ?]

ঘটনার দিন ক্লারা ছাড়াও ফ্ল্যাটে আরও দু’জন ছিলেন। সংগ্রহ করা জিনিসগুলোয় কার হাতের ছাপ রয়েছে তা ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্টকে দিয়ে যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। গোটা ঘটনার সত্যতা জানতে দু’জনকে আগেই জেরা করা হয়েছিল। নতুন করে আরও পাঁচজনকে জেরা করা হচ্ছে। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত সাতজনের বয়ান রেকর্ড করা হল। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ