অর্ণব আইচ: শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। চাকরির জন্য মেডিক্যাল পরীক্ষা দিতে হয়েছিল যুবককে। আর তাতেই ধরা পড়ল করোনা। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে। যেহেতু করোনা আক্রান্ত যুবক শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন না, তাই তিনি অনেকের সঙ্গেই মিশেছিলেন। সেই কারণে বেলতলা রোডের একটি বসতির বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলতলা রোডের উপর একটি তিনতলা বাড়ির একতলায় থাকেন ওই যুবক। বাড়ির সংলগ্ন ওই বসতিটি। তিনি বিভিন্ন সংস্থার গাড়ি চালান। সম্প্রতি নতুন একটি চাকরিতে যোগ দেন। ওই সংস্থাটি নতুন কর্মীদের মেডিক্যাল টেস্ট করে। তার মধ্যে ছিল করোনা পরীক্ষাও। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি পরীক্ষা দিতে যান। তাঁর লালারস নিয়ে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। এরপর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন।
[আরও পড়ুন: ‘টানা ৩৮ দিন সিসিইইউ, ভেন্টিলেশন, কোমা’, করোনার সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলেন প্রৌঢ়]
এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন। তাঁর শরীরে কোন উপসর্গ ছিল না। শনিবার পরীক্ষার রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। তারই ভিত্তিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা তাঁকে রাজারহাটে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। পুলিশ ওই বাড়ি ও বসতির একটি অংশ সিল করে দিয়েছে। ওই যুবকের পরিবারের লোকেরা লকডাউনের আগেই পাঞ্জাবে চলে যান। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার ফলে তাঁরা আর ফিরতে পারেননি। বাড়িতে যুবক একাই থাকতেন।
যদিও বাড়িটির দোতলা ও তিনতলায় অন্য পরিবার থাকে। তাঁদের হোম কোয়ারানটাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার যখন যুবককে গাড়িতে তোলা হয় তখনও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। তিনি নিজেও স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশকে জানান, কোনও অসুস্থতা অনুভব করছেন না। পুলিশের ধারণা, করোনা ভাইরাস তাঁকে কাবু করতে না পারলেও তিনি ওই ভাইরাসের বাহক। যুবক যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদেরও হোম কোয়ারানটাইনে থাকতে বলা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।